শনিবার ৫ লক্ষাধিক শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।


১২ জুলাই, ২০১৮ ২:৪৩ : অপরাহ্ণ

সকালেরসময় চট্টগ্রাম ডেস্ক::  চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) অধীনে নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে (স্থায়ী/অস্থায়ী) ১ হাজার ২৮৮টি কেন্দ্রে শনিবার (১৪ জুলাই) ৫ লক্ষাধিক শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের অধীনে এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮০ হাজার শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ ইউনিট) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৪ লাখ ৩০ হাজার শিশুকে একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ ইউনিট) ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) নগরের সদরঘাটে মেমন হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী। তিনি জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ দেশব্যাপী অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে শনিবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন (১ম রাউন্ড) ২০১৮ পালিত হবে। এ লক্ষে চসিক জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফলভাবে বাস্তবায়নের সর্ব্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

এদিন সকালে নগরের ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করবেন। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উচ্চহার বজায় রাখা, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি ও ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা ও পুষ্টি বিষয়ক অন্যান্য কর্মসূচি সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করাই জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য। তিনি আরও বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, এটি ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং সর্বোপরি শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস করে। বাংলাদেশের শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাসের অভাবজনিত সমস্যা দূরীকরণে এ কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করতে হবে।

নগরের ৪১ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়াও নগরের সরকারি-বসেরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, সকল জোনাল মেডিকেল অফিসার, ইপিআই টেকনিশিয়ান, সুপারভাইজার, স্বাস্থ্য সহকারী, টিকাদান ও স্বাস্থ্যকর্মী এ কাজে নিয়োজিত থাকবেন। ২০১৭ সালের ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রমে চসিকের অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল শতকরা ৯৯ শতাংশ। যেটি বাংলাদেশের সর্ব্বোচ অর্জন। যোগ করেন ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।

তিনি আরও বলেন, নগরের একজন শিশুও যাতে বাদ না পড়ে সেই লক্ষে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে পত্র প্রেরণ, মাইকিং, বিজ্ঞপ্তি ও ক্যাবল নেটওয়ার্কে প্রচারসহ সবধরনের প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চসিক শিক্ষা-স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউকের সভাপতিত্বে সভায় চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলীসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ