সকালেরসময় ডেস্ক :: নগরীর কোতোয়ালী থানার বলুয়ার দিঘীর পাড় এলাকায় এক ব্যক্তির পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের পায়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে জায়গার মালিকরা এ অভিযোগ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠক করেন সম্পত্তির মালিক মোস্তফা আমান উল্লাহ।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম জেলার বাকলিয়া মৌজার সি.এস, আর.এস, পি.এস ও বি.এস খতিয়ানের জরিপে মোহাম্মদ তোকির ধারাবাহিকতায় তাহার ওয়ারিশ আমাদের নামে প্রচারিত আছে। সম্পত্তির মোট পরিমাণ ১৫ দশমিক ৯০ একর। উক্ত ভূমি আমরা নানাভাবে ভোগদখলে আছি। আমার পিতা সম্পত্তির ২০ শতক জায়গা কর্ণফুলী মেহেদী মসজিদের নামে ওয়াকফ করে যান। ওই জায়গায় বর্তমানে মসজিদ ও কবরস্থান আছে।
১৯৮৮ সালে বিএস জরিপের ৩০ ধারা পর্যন্ত সঠিকভাবে আমাদের নামে রেকর্ড হয়। এরপর ছাপানো খতিয়ানে আমাদের নামে না হওয়ায় সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত করা হয়। এরপর সেটেলমেন্ট অফিসে মিস মামলা করলে কাগজপত্র সঠিক উল্লেখ্য করে বায় আমাদের পক্ষে আসে। ইতি মধ্যে ওই সম্পত্তি বিসিএস সমিতি চট্টগ্রামকে লীজ প্রদান করে ১৫ দশমিক ৯০ একর সম্পত্তি ৮২ জনের নামে ৬ একর সম্পত্তি বন্দোবস্তী প্রদান করেন। এরপর পৈত্রিক সম্মত্তি ফেরত পাওয়া আবেদন করিলে বন্দোবস্ত স্থগিত করা হয়। এরপর সংস্থাপন মন্ত্রাণালয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে লীজ বাতিল করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, অবৈধ লোভের বশবর্তী হইয়া বিসিএস এর তৎকালীন সচিব চট্টগ্রাম রিয়েল এষ্টেটেব মালিক দিদারুল আলম দিদারের সাহার্য্যে ও আর্থিক সহায়তায় সমিতির ৬ একর ভূমিকে প্লট করিয়া সহজ-সরল ব্যক্তিদের নিকট বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে ৬ একর সম্পত্তির লীজও বাতিল করা হয়। লীজ বাতিল হওয়ার স্বত্বেও বিসিএস প্রশাসন সমিতির দোহায় দিয়ে চট্টগ্রাম রিয়েল এষ্টেটের মালিক আমাদের স্বত্ব দখলে বিঘœ সৃষ্টি করার পায়তারা করছে। এই নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা-লেখিও হয়েছে।
তাছাড়া চট্টগ্রাম রিয়েল এষ্টেটের মালিক দিদারুল আলম দিদার এর বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় ৪টি সাধারণ ডায়েরী করেছি। কিন্তু আচার্য্যজনক ভাবে ওই রিয়েল এষ্টেট মালিকের নামধারী কেয়ার টেকার আমাদের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় মামলা দায়ের করে আমাদের নানাভাবে হয়রানি করছেন। পরিশেষে তিনি বলেন, আমাদের মৌরশী সম্পত্তি যাতে ওই রিয়েল এষ্টেটের মালিক জোরপূর্বক দখল করে কোন স্থাপনা নির্মাণ বা আমাদের বেদখল করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ আলী, মোস্তফা আমান উল্লাহ, এরশাদ উল্লাহ, মিতুনসহ সম্পত্তির মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।