সকালেরসময় প্রতিবেদক :: ভোর থেকে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার আশপাশে মানুষের স্রোত নামে। যেন সব পথ মিশে গেছে জামেয়া ঘিরে। কারণ সেখান থেকে বের হবে রাসুল (দ.) বংশধর হযরতুল আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ’র (ম.জি.আ.) নেতৃত্বে ঐতিহাসিনক জশনে জুলস। এ জুলুসে অংশ নিতে প্রতিবারের মতো এবারও ছুটে এসেছে নবী প্রেমিক মানুষ।
সকাল সাড়ে ৯টায় যখন আলমগীর খানকাহ্-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে আল্লামা তাহের শাহের নেতৃত্বে যখন জুলুস বের হয় তখন মুরাদপুর থেকে কাতালগঞ্জ, চকবাজার, চন্দনপুরা সিরাজুদৌলা রোড হয়ে আন্দরকিল্লা-মোমিন রোড-জামালখান পর্যন্ত যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
রাস্তার দু’পাশে রাসুলপ্রেমিক লাখো মানুষের ঢল নামে। জুলুস দেখতে রাস্তায় নেমে আসেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষেরাও। কেবল আওলাদে রাসুল আল্লামা তাহের শাহকে একনজরে দেখতে। বিশেষভাবে তৈরি গাড়িতে বসা হুজুর কেবলাকে সালাম-শ্রদ্ধা জানান তারা।
জুলুসে অংশগ্রহণকারীদের হাতে শোভা পায় হুজুর কালেমা, ঈদে মিলাদুন্নবীর স্লোগান লেখা প্লেকার্ড, ফেস্টুন ও সবুজ চাঁদ তারকাখচিত পতাকা। অনেক তরুণ জোটবদ্ধ হয়ে একই ধরনের পোশাক পরিধান করে। সম্মিলিক কণ্ঠে তারা নাতে রসুল গাইছেন।
দেশের বিভিন্ন জেলা উপ-জেলা এবং চট্টগ্রামের আঅশপাশের উপজেলা থেকে আসা খণ্ড খণ্ড মিছিল জুলুসে অংশ নেয়। এসময় হামদ, নাত, নারায়ে তাকবীর-আল্লাহু আকবর, নারায়ে রিসালাত-ইয়া রাসুলুল্লাহ্ (দ.) স্ল্লোগানে প্রকম্পিত হয় পুরো বন্দরনগরী। কারও মুখে সবচে আওলা ও আলা হামারা নবী, কারও মুখে আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ।
দেখা গেছে, আয়োজন প্রতিষ্ঠান আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট’র কর্মকর্তারা জুলুসের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে সামনের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। তার পরেই পুলিশি নিরাপত্তায় রয়েছে হুজুর কেবলার গাড়ি। আনজুমান ট্রাস্টের বিশেষ বিরাপত্তা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ওই গাড়িতে আল্লামা তাহের শাহ’র (মাজিআ) দুই সন্তান আল্লামা সৈয়্যদ মোহাম্মদ কাশেম শাহ এবং সৈয়্যদ মোহাম্মদ হামেদ শাহ। এছাড়া পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস আল্লামা ওবায়দুল হক নঈমি ওই গাড়িতে রয়েছেন।