বিষয় :

কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে শিক্ষকরা


নিউজ ডেস্ক  ১ আগস্ট, ২০২৩ ৭:৫৭ : অপরাহ্ণ

মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে বেসরকারি শিক্ষকরা কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশন শুরু করেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও দোয়া-মোনাজাতের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

আমরণ অনশনে যাচ্ছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা
রাজধানীর পল্টন থেকে হাইকোর্ট অভিমুখী সড়কের কদম ফোয়ারা পর্যন্ত রাস্তার একপাশ বন্ধ করে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা। গতকাল সোমবার পর্যন্ত টানা ২১ দিন অবস্থান কর্মসূচি করেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় ১ আগস্ট থেকে আমরণ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা। সেই ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে শুরু হলো আমরণ অনশনের কর্মসূচি।

আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসা বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমদ বলেছেন, কেবল প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেলেই তারা ঘরে ফিরে যাবেন। আমরা ৫ মিনিটের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চাই। এর কারণ হচ্ছে, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে চাই। জাতীয়করণ একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। দুই বছর বা পাঁচ বছরে এটি করা একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু তারপরও এটা শুরু হোক।

বর্তমান বাজারে শিক্ষকদের দুরবস্থা তুলে ধরে কাওছার বলেন, আমরা এখন মাত্র ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পাই। এই জায়গাটায় তো একটা সুদৃষ্টি দেয়া যায়। এই জায়গাটায় প্রধানমন্ত্রীর মেসেজটা কী- সেটা আমরা জানতে চাই। ওনাকে এখনইঘোষণা দিতেই হবে- এমনটা না। কারণ আমরা বুঝি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আর মাত্র দুই মাস বাকি।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ব্যানারে গত ১১ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে রয়েছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষকরা। গত ১৯ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। সংসদ নির্বাচনের আগে এই দাবি মানা সম্ভবপর নয় জানালেও জাতীয়করণের বিষয়টি বিবেচনার জন্য দুটি কমিটি গঠনের কথা বলেছিলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রীর কথায় আন্দোলনরত শিক্ষকরা সন্তুষ্ট হতে পারেনি জানিয়ে শেখ কাওছার বলেন- শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচনের আগে কিছুই দেয়া যাবে না। আমরা তখন বলেছিলাম, উৎসব ভাষার ঘোষণা দিলে সেটা পাব আগামী বছর। কারণ নির্বাচনের আগে তো উৎসব ভাতা আসবে না। তারপরও উনি বললেন, নির্বাচনের আগে কোনো ঘোষণা দেয়া যাবে না। এজন্যই আমাদের কথা হচ্ছে, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে একটু দেখা করতে চাই।

শিক্ষকদের এখন নির্দিষ্ট কোনো দাবি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে চাই না। আমরা উনার মুখের একটা কথা শুনলেই ঘরে ফিরে যাব। কারণ আমরা জানি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেই এর সমাধান হয়ে যাবে।

সকালের-সময়/ফোরকান

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page