রাজনীতিতে রনির পুনরুত্থান–আশায় বুক বাঁধছে অনুসারীরা


নিউজ ডেস্ক  ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ৩:৩৮ : অপরাহ্ণ

অমাবস্যার অন্ধকার কেটে গেছে। রাজনীতির নানা বাঁক দেখে ফেলেছেন এক দশকের পথচলায়। রাজপথ ছাড়েননি কখনো। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে নতুন দিনের সূর্য উঠেছে। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে ‘ছাত্রবীর’ খ্যাত নূরুল আজিম রনির ঠাঁই হয়েছে আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ কমিটিতে। এই প্রাপ্তিতে উদ্বেলিত রনির হাজার হাজার অনুসারী ছাত্র-যুব নেতাকর্মীরা।

বর্ধিত বেতন ভাতা বিরোধী আন্দোলন, ভর্তি বাণিজ্য বিরোধী আন্দোলন, সড়ক আন্দোলন, মাঠ রক্ষার আন্দোলনসহ জনবান্ধব বেশ কিছু আন্দোলনে রনির সাহসী ভূমিকা সারাদেশে প্রশংসিত।

শুধু ছাত্র বান্ধব কর্মসূচি নয় আগুন সন্ত্রাস, বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে রাজপথের আন্দোলনে সব সময় ছিলেন রাজপথে। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তিনবারের সিটি মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্নেহধন্য রনি। নগরীর নানা নাগরিক আন্দোলনে সামিল হয়ে রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি সাধারণ ছাত্র, যুবক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন রনি।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ লাভের মধ্যে দিয়ে রাজনীতির শুরু। গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত ১৪০ সদস্যের এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে মোজাফফর হোসেন পল্টুকে। কমিটির কো-চেয়ারম্যান করা হয়েছে হারুনুর রশিদকে। আর মাশরাফী বিন মোর্তজাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

এই কমিটিতে সদস্য পদ পাওয়া নুরুল আজিম রনি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘদিন রাজনীতি করার পর এবার আওয়ামী লীগে দলীয় পদ পেলেন। সাবেক এই ছাত্রনেতা এতদিন বিভিন্ন ইস্যুতে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে সরব ছিলেন।

নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকার সময় নগরীর কাজেম আলী স্কুলের বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আলোচনায় আসেন। এরপর নগরীর স্কুল-কলেজে কোচিং বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে, অতিরিক্ত ভর্তি ফি ও অতিরিক্ত ফরম পূরণ ফি’র বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তিনি সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জনসমর্থন লাভ করেন।

নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন নুরুল আজিম রনি। পরবর্তীতে খেলার মাঠ নিয়ে আন্দোলন করেও প্রশংসা লাভ করেন। তবে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গণে রনি সবার নজর কেড়েছিলেন ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কব্জা থেকে উদ্ধারের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে।

এসএস/ফোরকান

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ