রাজনীতি ডেস্ক : এলোমেলো পুরো ক্যারিয়ার। প্রথমে প্রতিমন্ত্রীর পদ এরপর এবার দলীয় পদও হারাতে বসেছেন। সর্বশেষ জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ডা. মুরাদ হাসানকে।
আজ (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে একজন সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য দেন।
ডা. মুরাদ হাসান জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। বিকেল ৫টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা মুরাদ হাসানের বিষয়ে বৈঠকে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করছেন। দলীয় পদ আছে তার। তবে ঢাকায় কোনো পদ নেই। তিনি জামালাপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পরিবারকল্যাণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন। ওই পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যতোটুকু জানি, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ আজ সভা ডেকেছে। সভাটি ডা. মুরাদ হাসানকে নিয়েই। তার বিষয়টি সেখানে প্রধান আলোচ্যসূচি।
তারা (জেলা কমিটি) সম্ভবত তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেবে। এ রকম সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছে।’
মুরাদ হাসানের দলের প্রাথমিক সদস্যপদও বাতিল করা হবে কি না, জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা সেন্ট্রালি (কেন্দ্রীয় কমিটি) সিদ্ধান্ত নেবো।
পরবর্তী ওয়ার্কিং কমিটিতে সিদ্ধান্ত নেবো। যেভাবে গাজীপুরের মেয়র এবং ওই মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদকের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ধরনের সিদ্ধান্ত ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং ছাড়া করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা পরবর্তী ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তার (মুরাদ হাসান) বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো।’
সংসদীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটি পরের ব্যাপার। এখন আপাতত যেটা হয়েছে, প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে সরে যেতে হলো।
দলেও একটা পদে ছিল, সেখানেও অব্যাহতি পাচ্ছে। এমপি পদে থাকার বিষয়েও যদি সেরকম গুরুতর কোনো অভিযোগ আসে, সেটা সংসদের স্পিকার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’
এর আগে খালেদা জিয়া ও তার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে এক লাইভ আলোচনায় কুরুচিকর মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনায় পড়েন ডা. মুরাদ।
এরপর সামাজিকমাধ্যমে দুইজন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও অভিনেত্রীর সাথে তার একটি অডিও আলাপও ভাইরাল হয়।
এরমধ্যেই আরেক ভিডিও আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেত্রীদের নিয়েও তিনি অপমানজনক বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলে দল ও দলের বাইরে।
এরইমধ্যে গতকাল রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠান মুরাদ হাসান।
এস এস/