বিষয় :

এবার উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নড়েচড়ে আ: লীগ, অপর দিকে আন্দোলনের চিন্তায় ঘুরপাক বিএনপি


২৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ৪:২৭ : অপরাহ্ণ

সকালেরসময় রিপোর্ট:: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়মী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর দলীয় নেতাকর্মীদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বহুগুণ। দলীয় সমর্থক ও শীর্ষ নেতারা মনে করেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচনেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ন্যায় আওয়মী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় সুনিশ্চিত। জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হতে আগ্রহীদের তালিকা দীর্ঘ। তাই দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিযোগিতা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে। অপর দিকে বিএনপির অবস্থান এখনও দৃশ্যমান নয়। কী ভাবছে আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়ে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিশাল ভরাডুবির পর দলটি এখনও নিজেদের গুছিয়ে উঠতে পারছে না বলে জানাগেছে। উপজেলা নির্বাচনের বিষয়ে তাদের আগ্রহ কম। আন্দোলনের চিন্তা তাদের মাঝে ঘুরপাক খাচ্ছে দাবি দলীয় নেতাকর্মীদের। খোঁজ নিয়ে দেখাগেছে বিএনপি সমর্থিত বেশিরভাগ উপজেলার চেয়ারম্যানরা আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ নেই।

এদিকে এবারই প্রথম উপজেলা নির্বাচন হবে দলীয় প্রতীকে। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেয়া উদ্যোগে ইতোমধ্যে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটিকর্পোরেশন নির্বাচন দলীয় প্রতীকে সম্পূর্ণ হয়েছে। এবার উপজেলা নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। আওয়মী লীগ সাধারণ সম্পাদক গত (১৩ জানুয়ারি) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তবে বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল আমাদের পরাজিত করতে পারবে না।
তবে আমরা চাচ্ছি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত এবারের উপজেলা নির্বাচনেও একক প্রার্থী বাছাইয়ে সচেষ্ট থাকব।

আশা করি দল যাদের মনোনয়ন দিবে নেতাকর্মীরা তাদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করবে। কোন ভেদাভেদ সৃষ্টি করবেন না। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বহু প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া যায়নি। তাদের অনেককেই এবারের উপজেলা নির্বাচনে দলের টিকিট দেয়া হতে পারে। চলতি বছরের মার্চে প্রথম পর্যায়ে উপজেলা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। নির্বাচন কমিশনের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। সেই অনুযায়ী মার্চে স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তারা আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের তালিকা অনুযায়ী কমিশন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করবে।

স্থানীয় সরকার আইনে (উপজেলা পরিষদ) বলা রয়েছে, উপজেলা পরিষদ গঠনের পর প্রথম সভা থেকে ৫ বছর মেয়াদ সম্পন্ন হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। ২০১৪ সালে ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কয়েক ধাপে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই হিসাব অনুসারে যেসব উপজেলা পরিষদের মেয়াদ আগে পূর্ণ হবে, প্রথম পর্যায়ে সেসব উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

কেন্দ্রীয় চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মাহবুবউল আলম হানিফ চট্টগ্রাম ও সিলেট, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ঢাকা ও ময়মনসিংহ, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক রংপুর ও রাজশাহী, আবদুর রহমান বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দায়িত্বে থাকতে পারেন বলে জানা গেছে। আট সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে আহমদ হোসেন সিলেট, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ অ্যাডভোকেট ময়মনসিংহ, বি এম মোজাম্মেল হক রংপুর, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বরিশাল, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম চট্টগ্রাম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন খুলনা, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী রাজশাহী এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ঢাকা বিভাগের কার্যক্রম দেখভাল করতে পারেন।

এদিকে দেশের ৪৯৬টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদের জন্য আওয়ামী লীগে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচন করবেন। তবে এ নির্বাচন যেহেতু স্থানীয় সরকার নির্বাচন এখানে ব্যক্তিগত ইমেজও বড় হয়ে দাঁড়ায়। তবে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বঞ্চিতরাই সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ করবে তা এক প্রকার নিশ্চিত বলে জানা গেছে।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page