বিষয় :

হাজীদের পদভারে মুখরিত পবিত্র নগরী মক্কার পথ-প্রান্তর


নিউজ ডেস্ক  ২৬ জুন, ২০২৩ ১২:১৭ : অপরাহ্ণ

আজ সকালে হাজিরা মিনায় পৌঁছার মধ্য দিয়ে পবিত্র হজের কার্যক্রম শুরু করেছেন। সেখানে প্রায় ২০ লাখ হাজি সমবেত হয়ে ইবাদত-বন্দেগি করছেন। যদিও ভিড় এড়াতে কেউ কেউ রোববার রাতেই মিনায় পৌঁছেছেন। যাত্রাপথে তাদের মুখে ছিল ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনি।

মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। হজ পালনকারীদের জন্য স্থানীয় সময় ৮ জিলহজ জোহরের নামাজের পূর্বে মিনায় পৌঁছা সুন্নত। মিনা প্রান্তরে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও রাত্রী যাপন সুন্নত আমল। মিনাতে হাজিদের রাত কাটানোর জন্য আলাদা আলাদা তাঁবু রয়েছে। মিনাকে তাঁবুর শহর বলা হয়। এবার প্রায় ১ লাখ অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। সবই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।

আজ সারা দিন ও সারা রাত মিনায় অবস্থান করে কাল তারা চলে যাবেন আরাফার ময়দানে। সেখানে পালিত হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। আরাফার ময়দানেই হজের খুতবা প্রদান করা হয়। এবার হজের খুতবা দেবেন প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ইউসুফ বিন সাঈদ।

তিনি সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ইসলামি কর্তৃপক্ষ সিনিয়র স্কলার কাউন্সিলের একজন সদস্য। মঙ্গলবার (২৭ জুন) তিনি খুতবা দেবেন। একই সঙ্গে তিনি মসজিদে নামিরাতে নামাজের ইমামতি করবেন। খুতবার জন্য বিকল্প হিসেবে ড. মাহের আল মুয়াইকলিকে রাখা হয়েছে। তিনি মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম।

এবার হজের আরবি খুতবা বাংলাসহ মোট ২০টি ভাষায় সম্প্রচার করা হবে। বাংলায় অনুবাদের দায়িত্ব পেয়েছেন ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী, মুবিনুর রহমান ফারুক ও নাজমুস সাকিব। তারা সবাই মক্কার বিখ্যাত উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। ২০২০ ও ২০২১ সালে হজের খুতবার বাংলা অনুবাদ করেছেন মাওলানা আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী। মূলত তার মাধ্যমেই খুতবার বাংলা অনুবাদ কার্যক্রম শুরু হয়। হজের খুতবা বিভিন্ন ভাষায় সম্প্রচারের বিষয়ে তদারকি করে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগ।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ডা. তৌফিক আল রাবিয়া জানিয়েছেন, এবার বিশ্বের ১৬০টির বেশি দেশের ২০ লাখের অধিক মানুষ পবিত্র হজ পালন করছেন। তাদের সেবা দিতে ৩২ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী প্রস্তুত আছে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে হাজিরা চলে যাবেন মুজদালিফায়। সেখানে রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন। মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, দমে শোকর বা কুরবানি দেওয়া ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সাঈ করবেন।

সেখান থেকে তারা আবার মিনায় ফিরবেন। পরে মিনায় মিনায় ১১ ও ১২ জিলহজ থেকে তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ি তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ