বিষয় :

যেখানে প্রতিদিন সাড়ে ৩ লাখ মানুষকে ইফতার করানো হয়


ধর্ম ডেস্ক ২ জুন, ২০১৯ ৩:৫৬ : পূর্বাহ্ণ

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের মাশাউদ শহরের শিরিনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইফতারের আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রতিদিন ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষের ইফতারের ব্যবস্থা করা হয় এখানে। ইরানের মাশহাদে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর পবিত্র আহলে বাইতের অন্যতম সদস্য হযরত ইমাম রেজা (আ.)-এর মাজার কমপ্লেক্সে আয়োজন করা হয় এই ইফতার মাহফিলের।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইফতার মাহফিল ইমাম রেজা হোলি শিরিন: সেখানে একত্রে সকলে নিজেদের ইফতার গ্রহণ করে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ইফতার মাহফিল সফল করার জন্য প্রতিদিন কয়েকশ’ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেন। সূর্যোদয় থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন এক লাখ মানুষের জন্য চলে এই আয়োজন। রোজাদারদের প্রত্যককে দেওয়া হয় ইফতারের প্যাকেট।

আলাদা করে জল এবং স্যুপের প্যাকেটেরও ব্যবস্থা থাকে। খেজুর, আখরোট, মধু, কলা, সবজি, রুটি, পনির, ফলমূল, জুস, দুধ, টি-ব্যাগ-সহ বিভিন্ন খাবার দিয়ে সাজানো হয় ইফতারের প্যাকেট। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইফতার মাহফিল শুধু ইরান নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে ইফতার করতে আসেন বহু মানুষ। পুরো রমজান মাসজুড়ে এই পবিত্র স্থানে ৩০ লাখেরও বেশি রোজাদার ইফতার করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইফতার মাহফিল কোমে হযরত মাসুমা (সা. আ.)-এর মাজারে ইফতার মাজার প্রাঙ্গণে ১৬ হাজার বর্গমিটার এলাকায় বিছানো হয় গালিচা। যেখানে নারী ও পুরুষদের জন্য রাখা হয় আলাদা বসার স্থান। সূর্যোদয় থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন এক লাখ মানুষের জন্য চলে এই আয়োজন। আর এই খাবার পরিবেশনের আগে প্রতিদিন বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইফতার মাহফিল ইরানে ইফতার সংস্কৃতি, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে নানা ধরনের ফলমূল, পানীয় ও মিষ্টান্ন দিয়ে রোজাদাররা ইফতার করে থাকেন। ফলের মধ্যে থাকে খেজুর, আপেল, চেরি, তরমুজ আখরোট, তলেবি বা এক ধরনের বাঙ্গি, কলা, আঙ্গুর ইত্যাদি। এছাড়া, মধু, রুটি, পনির, দুধ, পানি, চা উল্লেখযোগ্য।

ইফতারিতে অনেকটা অবশ্যম্ভাবী উপাদান হিসেবে থাকে টমেটো, শসা, লেটুসপাতার সালাদ এবং পুঁদিনা ও ধনিয়া পাতাসহ নানা রকমের সুগন্ধযুক্ত পাতা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইফতার মাহফিল আর থাকে এক রকমের জিলাপি তার স্বাদ ঠিক বাংলাদেশি জিলাপির মতো নয়। হালিম নামে একটি খাবারও ইফতারিতে খাওয়া হয়। তবে এই হালিমের স্বাদ বাংলাদেশের হালিমের মতো নয়।

ছোট চাল, চিনি আর জাফরান দিয়ে রান্না হয় এক ধরনের ক্ষির বা পায়েশ যার ইরানি নাম ‘শোলে জার্দ’। মসজিদে কিংবা আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর বাড়িতে ইফতারি দেয়ার রেওয়াজ ইরানেও আছে। এছাড়া যেসব অফিস ইফতারের সময়ও খোলা থাকে সেখানে অফিস থেকেই ইফতার সরবরাহ করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page