বিষয় :

তাজিয়া মিছিলে মানুষের ঢল


সকালের-সময় রিপোর্ট ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১:৪৪ : অপরাহ্ণ

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা। কারবালার শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক ঘটনার দিনটি ধর্মীয়ভাবে বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে এ দিনটি বিশেষ পবিত্র দিবস।

আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিল বের হয়েছে পুরান ঢাকার চানখাঁরপুল এলাকার হোসেনি দালান থেকে। পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শিয়া সম্প্রদায় এই ঐতিহ্যবাহী মিছিলের আয়োজন করেছে। মিছিলে কারবালার রক্তাক্ত স্মৃতির স্মরণে মানুষের ঢল নেমেছে।

ঘোড়া, কবুতর ও নিশানসহ বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে হোসেনি দালান প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে তাজিয়া মিছিল রাজধানীর জিগাতলা হয়ে ধানমন্ডি লেক এলাকায় শেষ হবে। এর আগে তাজিয়া মিছিলে অংশ নিতে সকাল থেকেই হোসেনি দালান এলাকায় জড়ো হতে থাকেন ধর্মপ্রাণ শিয়া মুসলিমরা।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এ দিনে কারবালা প্রান্তরে হত্যার স্মরণে মুসলমান সম্প্রদায় বিশেষ করে শিয়া সম্প্রদায় মহরম মাসে তাজিয়া মিছিল বের করে।

শিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারী হাসনাইন মোস্তফা জুবায়ের বলেন, মিছিলে তাজিয়া, আলম, ঝুলা, তাবত নিয়ে সমবেত হয়েছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। মিছিলের সামনে থাকবে দুইটি ঘোড়া, যাকে দুলদুল হিসেবেই চেনে সবাই।

হোসনি দালান ইমামবাড়ার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মির্জা মোহাম্মদ নাকি আসলাম জানান, ৪০০ বছর ধরে পুরান ঢাকায় শোকের মাতম অর্থাৎ তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। কারবালায় ইমাম হোসেনসহ তার পরিবারকে হত্যার মধ্যদিয়ে যে বিষাদময় ঘটনা ঘটেছে ইতিহাসে তার পুনরাবৃত্তি হবে না। মিছিলে বিভিন্ন ধর্ম ও গোষ্ঠীর মানুষ অংশ নিয়েছে।

এদিকে, তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে ইমামবাড়া এবং আশেপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সদা তৎপর রয়েছেন।

মির্জা মোহাম্মদ আসলাম বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট। সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে যেন নিরাপদে মিছিল শেষ করতে পারি। মিছিলটি পুরান ঢাকার ইমামবাড়া থেকে বকশীবাজার, উর্দুরোড হয়ে ধানমন্ডিতে গিয়ে শেষ হবে বলে জানান আসলাম।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page