নগরীর কালামিয়া বাজার কামালে ইশকে মুস্তফা (সা:) কমপ্লেক্স ট্রাস্ট কর্তৃক আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক শাহাদাতে কারবালা মাহফিল মাদ্রাসার নিজ মসজিদে পহেলা মোহররম থেকে প্রতিদিন বাদ মাগরিব ইমাম হাসান-হোসাইনের আত্মত্যাগের ঘটনা নিয়ে বিশিষ্ট আলেম, শিক্ষাবিদ, গবেষকরা আলোচনা করেন।
রোববার সকাল থেকে শুরু হয় নবী প্রেমী ও আহলে বায়তে রাসুলের (দ) প্রতি যারা হৃদয়ে ভালবাসা ধারণ করেন তাদের জন্য মহররম মাস বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ও গরুত্ববহ। এবং কারবালার ময়দানে নবী পরিবারের তুলনাহীন আত্মত্যাগ ও কুরবানির মধ্য দিয়ে ইসলামের ভিত্তি মজবুত হয়েছে। কারবালার এই হৃদয়ভেদী ঘটনার মাধ্যমে ইসলামের পুনরু্জ্জীবন ঘটে বলে আলোচনা করেন মাহফিলের প্রধান অতিথি উরকিরচর মোহাম্মদিয়া মাদ্রাসা প্রিন্সিপ্যাল মৌলানা হাসান রেজা।
শাহাদাতে কারবালা মাহফিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে মূলত আহলে বায়তে রাসুলের (দ) প্রতি প্রদ্ধা ও ভালবাসাই প্রদর্শন করেন নিষ্ঠাবান মুসলমানরা। তাই আহলে বায়তে রাসুলের আত্মত্যাগের ঘটনা মুসলমানদের মাঝে জাগরুক রাখা এবং দ্বীন ও সত্যের প্রতি সবাইকে উজ্জীবিত রাখতে এই মাহফিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
সভাপতি, মুক্তিযোদ্ধা এম কায়কোবাদ, বলেন, সকল বাধা মোকাবেলা করে সব অবস্থায় দ্বীন ও সত্যের উপর অবিচল থাকাই কারবালার ঐতিহাসিক শিক্ষা। হযরত ইমাম হোসাইন(রা.) যদি সেদিন জীবন রক্ষার জন্য দুরাত্মা ইয়াজিদের কর্তৃত্ব মেনে নিতেন তবে ইসলামের গৌরবময় ইতিহাস, সত্য ও ন্যায়ের জন্য আত্মত্যাগের ইতিহাস কালিমাযুক্ত হতো।
কঠিন মুসিবত সত্ত্বেও হযরত ইমাম হোসাইনের দ্বীন ও হকের প্রতি সুদৃঢ় থাকা কারবালার এই ঘটনা থেকে সত্য ও ন্যায়ের জন্য নিজেদের উৎসর্গীত রাখার প্রেরণা খুঁজে পায় মুসলমানরা। দিকে দিকে ইসলামের পুনর্জাগরণে এবং মুসলমানদের আত্মমর্যাদা ও আত্মশক্তি নিয়ে উন্নত শিরে বেঁচে থাকতে কারবালার প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।