মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সচিবের মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা


নিউজ ডেস্ক  ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ ১:১৯ : পূর্বাহ্ণ

১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব নুরুল আমিনের কন্যা ফারাহ শারমিন ও তার স্বামী সৈয়দ এজাজ ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ রবিবার (১২ নভেম্বর) মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ফারাহ শারমিন ও তার স্বামী সৈয়দ এজাজ ইসলামের ২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। যে সম্পদের কোনও সঠিক উৎস জানাতে পারেননি তারা।

দুদক সূত্র জানায়, তাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে, ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার আর্থিক সুবিধাভোগীদের একজন ছিলেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব নুরুল আমিন। তার কন্যা ও জামাতার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর তদন্তে এসব বিষয়ও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

২০০৪ সালের ১ এপ্রিল চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানার জেটিতে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটক হয়। এ মামলায় ৫২ আসামির একজন ছিলেন সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব নুরুল আমিন।

২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমান ১৪ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদেরও একজন এই নুরুল আমিন। মামলায় তার নাম আসার পরই তিনি পালিয়ে যান। ধারণা করা হয়, তিনি দেশের বাইরে পলাতক রয়েছেন।

দুদকের কাছে অভিযোগ আসে, কন্যা ফারাহ শারমিনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে তিনি বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ গড়েছেন। এসব অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। দীর্ঘ সাত বছর অনুসন্ধান শেষে ফারাহ শারমিন এবং তার স্বামী সৈয়দ এজাজ ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক।

অনুসন্ধানে দুদক তথ্য পেয়েছে, এ দম্পতির নামে সঞ্চয়পত্র, এফডিআর, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে। এরমধ্যে ২৬ কোটি টাকার সম্পদের বৈধ কোনও উৎস পাননি তারা।

দুদকের কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে ফারাহ শারমিন ও তার স্বামী সৈয়দ এজাজ ইসলামের অবৈধ সম্পদের তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। এ সম্পদের উৎস কি সেটা খোঁজা হবে। এখানে আর কেউ জড়িত আছে কিনা সেটাও দেখা হবে।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ