বিমানের সাত খাতে ২৮৫ কোটি ৬১ লাখ টাকার অনিয়ম


নিজস্ব প্রতিবেদক ২৪ জুলাই, ২০২৩ ১১:২০ : পূর্বাহ্ণ

লন্ডনে টিকিট বিক্রয়লব্ধ অর্থ আদায় না করা, যাচাই বা নিরীক্ষা ছাড়াই চড়া দামে পুরোনো এয়ারক্রাফট লিজ নেয়া, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিয়োগসহ বিভিন্ন অদূরদর্শী সিদ্ধান্তে বিপুল অর্থ লোকসানে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কোম্পানি। বাংলাদেশ কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল কার্যালয়ের (সিএজি) কমপ্লায়েন্স অডিটে এসব অনিয়ম পাওয়া গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, সাত খাতে প্রায় ২৮৫ কোটি ৬১ লাখ টাকার অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে। এগুলো হলো চার্টার্ড বিমান ভাড়ার ওপর ভ্যাট আদায় না করায় সরকারের রাজস্ব ক্ষতি প্রায় ছয় কোটি ৬৯ লাখ টাকা; পুরোনো এয়ারক্রাফটের পার্টস সহজলভ্য নয় জানা সত্ত্বেও লিজ গ্রহণ করায় একাধারে ৯ মাস এয়ারক্রাফট অন গ্রাউন্ডে থাকায় এবং ফেরত প্রদানকালে যন্ত্রাংশের দুষ্প্রাপ্যতার জন্য রিডেলিভারি (সি-চেক) বিলম্ব হওয়ায় ১৯ মাস এয়ারক্রাফট পরিচালনা ব্যতীত লিজ রেন্ট প্রদানে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২১১ কোটি ৩০ লাখ টাকা; জেলা কোটা ও বয়সসীমা অনুসরণ, সংবাদপত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ব্যতীত ২৪৩ জন কর্মচারীকে অনিয়মিতভাবে নিয়োগ ও বেতনভাতা প্রদান করায় অনিয়মিত ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা; অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে বিমানের মতিঝিলস্থ ভবনের ৯০ হাজার বর্গফুট স্থান ২০১৪ সাল থেকে ভাড়া না দিয়ে বছরের পর বছর খালি রাখায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা; লন্ডনের বিমান টিকিটের বিক্রয়লব্ধ অর্থ আদায় না হওয়ায় আর্থিক ক্ষতি প্রায় ৪২ লাখ ৩০ হাজার টাকা; বিমান ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারে জেলা কোটা অনুসরণ ও নিয়োগ পরীক্ষার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন ব্যতীত অবৈধভাবে ২৮ কর্মচারী নিয়োগ এবং বেতনভাতা প্রদানে অনিয়মিত ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭৯ লাখ টাকা ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লি. কর্তৃক চুক্তি ব্যতীত বাণিজ্যিক স্পেসের ভাড়া প্রদান এবং বকেয়া ভাড়া আদায় না হওয়ায় অনাদায়ী প্রায় ৭২ লাখ ১৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ সাতটি খাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ক্ষতি প্রায় ২৮৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের ২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরের হিসাব-সম্পর্কিত কার্যক্রমের ওপর কমপ্লায়েন্স অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে এসব অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরের চার্টার্ড বিমান ভাড়ার ওপর ভ্যাট আদায় না করায় সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে প্রায় ছয় কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এয়ারক্রাফট চার্টার্ড ভাড়া প্রদান-সংক্রান্ত নথিপথ, ভাড়া আদায়ের ইনভয়েস/বিল, চুক্তি প্রভৃতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিমান কর্তৃক চার্টার্ড বিমান ভাড়া প্রদান করা হয়। চার্টার্ডে বিমান ভাড়া প্রদান করার জন্য ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি এম/এ ট্রান্সস্প্রিট এইচকে লি এবং এম/এম গুয়াংজু সুপার পাওয়ার লজিস্টিক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে হবে বলে উল্লেখ করা আছে।

ঢাকা-হংকং রুটে ২৫টি ট্রিপ এবং ঢাকা-ক্যান্টন রুটে ১১টি চার্টার্ড ট্রিপের ভাড়া আদায় করা হলেও ইনভয়েসের সঙ্গে ভ্যাট আদায় করা হয়নি। যদিও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক জারিকৃত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এসআরও নং-১৪৯-আইন/২০২০/১১০-মূসক অনুযায়ী চাটার্ড বিমান ভাড়ার ওপর উৎসে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে ক্রেতা হচ্ছে চার্টার্ড বিমান ভাড়া গ্রহণকারী ঠিকাদার এম/এস ট্রান্সপ্রিড এইচকে লিমিটেড ও এম/এস গুয়াংজু সুপার পাওয়ার লজিস্টিক কোম্পানি লিমিটেড, ফলে চার্টার্ড বিমান ভাড়া গ্রহণকারী ঠিকাদারের বিল/ইনভয়েসের সঙ্গে প্রযোজ্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট আদার করে সরকারি কোষাগারে জমা করা আবশ্যক। কিন্তু এক্ষেত্রে তা করা হয়নি।

এদিকে ২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে এয়ারক্রাফটের পার্টস সহজলভ্য নয় জানা সত্ত্বেও লিজ গ্রহণ করায় একাধারে ৯ মাস এয়ারক্রাফট অন গোয়িং (এওজি) থাকায় একই সঙ্গে ফেরত প্রদানকালে যন্ত্রাংশ দুষ্প্রাপ্যতার জন্য (রিডেলিভারি) সি-চেক বিলম্বের কারণে ১৯ মাস বিলম্ব হওয়ায় এয়ারক্রাফট পরিচালনা ব্যতীত লিজ রেন্ট প্রদানে প্রায় ২১১ কোটি ৩০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, যা নিজেদের পকেট ভারী করার এক ধরনের অপকৌশল বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, যখন পুরোনো কোনো মডেলের এয়ারক্রাফটের পার্টস সহজলভ্য না জেনেও কোনো ডিপার্টমেন্ট বা ব্যক্তি এসব কাজে আগ্রহ দেখায়, তখন ব্যক্তিগত স্বার্থ থাকে।

লিজচুক্তি, মেরামত ইনভয়েস, ফ্লাইট শিডিউল প্রভৃতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, বিমান বাংলাদেশ এয়রাইলাইনস লি. এবং ইজিপ্ট এয়ার হোল্ডিং কোম্পানির সঙ্গে বোয়িং ৭৭৭-২০০ইআর (এমএসএন: ৩২৬৩০), রেজি: এস২-এএইচএল এবং বোয়িং ৭৭৭-২০০ইআর (এমএসএন: ৩২৬২৯), রেজি: এস২-এএইচকে ব্যবহার করার জন্য ২০১৪ সালের ১১ মার্চ পর্যন্ত ৬০ মাসের চুক্তি হয়। এই লিজ গ্রহণের ক্ষেত্রে এই এয়ারক্রাফট দুটি ইকোনমিক্যালি ভায়াবল হবে কি না, এ-সংক্রান্ত বিশ্লেষণ-যাচাই করা হয়নি।

লিজ গ্রহণের জন্য বিমানের মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস বিভাগ কর্তৃক চাহিদাও দেয়া হয়নি। এমনকি এই এয়ারক্রাফটের যন্ত্রাংশও বিশ্বব্যাপী দুষ্প্রাপ্য, সে বিষয়ে অবগত করা সত্ত্বেও এই এয়ারক্রাফট লিজ নেয়া হয়েছে। সেফ, ইফিসিয়েন্ট, এডিকুয়েট ইকোনমিক্যালি এবং যথাযথভাবে বিমান বহরে অপারেট করা যাবে কি না প্রভৃতি বিষয় বিবেচনা না করে লিজ গ্রহণ করার ফলে বোয়িং ৭৭৭-২০০ইআর (এমএসএন: ৩২৬২৯, রেজি: এস২-এএইচকে এয়ারক্রাফট ২০১৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৯ মাস এয়ারক্রাফট অন গোয়িং (এওজি) ছিল।

ফলে এই দীর্ঘ সময় অপারেট করা না হলেও এই সময়ের জন্য মাসিক পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার ডলার হিসেবে লিজ রেন্ট প্রদান করা হয়েছে। অর্থাৎ ৯ মাসের জন্য সরকারের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫২ লাখ ৬৫ হাজার ডলার অথবা ৪৪ কোটি ২২ লাখ টাকা।

চুক্তিমতে, এয়ারক্রাফট মেরামতের জন্য যন্ত্রাংশের দুষ্প্রাপ্যতার কারণে বিলম্ব ঘটে। এতে প্রতিটি এয়ারক্রাফটের বিপরীতে মাসিক পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার ডলার লিজ রেন্ট প্রদান করতে হয়েছে। এভাবে এয়ারক্রাফট অপারেট না করেই বিমানকে সি-চেক (ফেরত প্রদানকালে) লিজ রেন্ট বাবদ প্রদান করতে হয়েছে প্রায় ১৬৭ কোটি সাত লাখ টাকা, যা বিমানের তথা সরকারের সব মিলে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২১১ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে জেলা কোটা ও বসয়সীমা অনুসরণ, সংবাদপত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ব্যতীয় ২৪৩ কর্মচারীকে অনিয়মিতভাবে নিয়োগ এবং বেতনভাতা প্রদান করায় প্রায় ৬৫ লাখ অনিয়মিত ব্যয় হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের ২৯.১০.১৯৮৮-এর প্রশাসনিক আদেশ নং- ৩২/৮৮ মোতাবেক জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলা কোটা অনুসরণ করতে হবে এবং সংবাদপত্রে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করতে হবে।

এদিকে অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে বিমানের মতিঝিলস্থ ভবনের ৯০ হাজার বর্গফুট স্থান ২০১৪ সাল থেকে ভাড়া না দিয়ে বছরের পর বছর খালি রাখায় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা। যদিও আগে মতিঝিলের বিমান অফিসে বিভিন্ন ভাড়াটিয়া ছিল। এস্টেট ও কমন সার্ভিসের ২০১৪ সালের পত্র মোতাবেক ২০১৪ সালের মে মাস থেকে বভন পুনর্নির্মাণের অজুহাতে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ করে ৯০ হাজার বর্গফুট ফ্লোর বছরের পর বছর খালি রাখা হয়।

শুধু ঢাকা ব্যাংক, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ও মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে (ভাড়াকৃত অংশের আংশিক স্পেস) ভাড়াটিয়া হিসেবে রাখা হয়েছে এবং প্রতি বর্গফুট ৮৫ টাকা হারে ভাড়া আদায় করা হয়েছে। একই ভবনে ২০১৪ সালের জুন থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ৮৫ মাস ৯০ হাজার বর্গফুট ফ্লোর খালি ছিল (এখনও খালি আছে)। ফলে ৯০ হাজার বর্গফুটের প্রতি বর্গফুট ৮৫ টাকা হারে মোট প্রায় ৬৫ কোটি আড়াই লাখ টাকা বিমান বাংলাদেশ ভাড়া প্রাপ্তি খাতে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না থাকায় বিমানে যাত্রীসেবার মানসহ সবকিছু ক্রমেই তলানিতে যাচ্ছে বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানের একাধিক কর্মকর্তা জানান। তারা বলেন, বিমানে তদবির করে নিজেদের পকেটে ভরতে অবৈধভাবে কর্মচারী নিয়োগ করা হয়েছে, যেখানে কোনো প্রকার নীতিমালা মানা হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, বিভিন্ন প্রকল্প অনিয়ম হলেও জড়িত কর্মকর্তাদের কোনো জবাবদিহির আওতায় আনা হয় না। বিমানে সব সময় বিভিন্ন কৌশলে বড় বড় অনিয়ম হলেও যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত হয়নি। ফলে এখানে যারা বড় কর্তা হন, তারাই অর্থ লোপাটে জড়িয়ে পড়েন।

অন্যদিকে ২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে লন্ডনের বিমান টিকিটের বিক্রয়লব্ধ অর্থ আদায় না হওয়ায় প্রায় ৪২ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। নিরীক্ষায় কোম্পানি সচিবালয় শাখার নথিপত্র, লন্ডনের বিমান শাখার টিকিট বিক্রির রেকর্ডপত্রের তথ্যমতে দেখা যায়, লন্ডনে বিমানের শাখা অফিস কর্তৃক বিক্রীত টিকিট বাবদ উল্লিখিত পরিমাণ টাকা বিমানের আয় খাতে জমা হয়নি, যা কান্ট্রি ম্যানেজারের অদক্ষতা ও যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে মেসার্স এয়ার এক্সপ্রেস ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস কর্তৃক প্রায় ৪২ লাখ টাকা ডিফল্ট হওয়ায় ওই টাকা কান্ট্রি ম্যানেজার, লন্ডন-এর কাছ থেকে আদায়যোগ্য হলেও তা আদায় করা হয়নি।

এছাড়া একই সময়ে অর্থাৎ ২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে বিমানের ফ্লাইট ক্যাটারিং সেন্টারে (বিএফসিসি) জেলা কোটা অনুসরণ ও নিয়োগ পরীক্ষার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন না দিয়ে অবৈধভাবে ২৮ কর্মচারী নিয়োগ দেয়ায় তাদের বেতন বাবদ প্রায় ৮০ লাখ টাকা অনিয়মিত ব্যয় হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী বিমানের প্রশাসনিক আদেশ নং-৩২-৮৮ মোতাবেক জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলা কোটা অনুসরণ করতে হবে এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হবে।

এদিকে চুক্তি ব্যতীত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মতিঝিলে বাণিজ্যিক স্পেসের ভাড়া প্রদান এবং বকেয়া ভাড়া আদায় না হওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রায় সাড়ে ৭২ লাখ টাকা অনাদায়ী রয়েছে।

জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার মো. নওশাদ হোসেন বলেন, ‘এটি ইনিশিয়াল ক্যাশ, প্রাথমিক অবস্থায় কোনো পর্যবেক্ষণ না করে বিষয়গুলোকে অনিয়ম বলা যাবে না। আমরা নিরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে জবাবও দিয়েছি। তাদের কমান্ড পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এরই মধ্যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের একটি মিটিংও হয়েছে। সব দিক থেকেই মনিটরিং হচ্ছে। এখানে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হচ্ছে। তবে এখানে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে অবশ্যই মন্ত্রণালয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সকালের-সময়/ফোরকান

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ