কর্ণফুলী গ্যাসের সাবেক এমডি আলীর বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু


নিজস্ব প্রতিবেদক ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ১০:০৭ : পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী মোহাম্মদ আল মামুনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চারটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় তথ্য চেয়ে ইতোমধ্যে দুদক থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

২০১৮ সালে চার মাসের জন্য কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আলী মোহাম্মদ আল মামুন। ওই বছরের এপ্রিল মাসে তিনি বদলি হয়ে যান। এমডি থাকাকালীন তিনি দুটি ফিলিং স্টেশনে অবৈধভাবে সংযোগ দেন বলে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, প্রচুর টাকা ঘুষ নিয়ে ওই দুটি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাণিজ্যিক গ্যাস সংযোগ প্রদান, বকেয়া বিল আদায় না করে এ কে এস স্টিলকে জাতীয় গ্রিড থেকে হট টেপিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগ প্রদান, একজন সহকারী প্রকৌশলীর ব্যাপারে সরকারি অর্থের অপচয়সহ নানা ধরনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিয়ে সরকার গেজেট প্রকাশ করে ২০১৫ সালে, যা ২০১৯ সালের ১৫ মে পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। কিন্তু সরকারের এই আদেশ না মেনে হাটহাজারীর মেসার্স আলাওল ফিলিং স্টেশন ও দৌলতপুরের মেসার্স ফোর স্টার ফিলিং স্টেশনে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়।

এছাড়া পাঁচলাইশে হোটেল নিরিবিলি, দক্ষিণ হালিশহরের এমরান হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টসহ নগরের আরও ৪টি হোটেলে বাণিজ্যিক গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়গুলোর ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়ার পর দুদক মাঠে নামে। উপরোক্ত চারটি বিষয় সংশ্লিষ্ট তথ্য চেয়ে দুদক থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কর্ণফুলী গ্যাসের সাবেক এমডি আলী মোহাম্মদ আল মামুন বলেন, আমি মাত্র চার মাস কেজিডিসিএলে দায়িত্ব পালন করেছি। যে চারটি অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে সেগুলোর কোনোটিই ওই সময়কার নয়। এগুলোর কোনোটির সাথে আমি জড়িত নই।

তবে আমার দায়িত্ব পালনকালে বেশ কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। পেট্রোবাংলার তৎকালীন চেয়ারম্যান সাহেবের সহায়তায় একটি তদন্ত কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটির রিপোর্টে কয়েকজন প্রভাবশালী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। যারা তখন দুর্নীতি করেছিলেন এখন তারাই আমার পেছনে লেগেছেন।

২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইন্স) হিসেবে তিনি দায়িত্ব নেন। প্রায় দেড় বছর দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে তিনি অবসরে আছেন বলে আজাদীকে জানান।

সকালের-সময়/ফোরকান

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ