সকালেরসময় রিপোর্ট:: নিরাপদ সড়ক ও বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীকে ‘হত্যার’ বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে বুধবার (১ আগস্ট) চতুর্থ দিনের মতো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ ও
বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বাস থামিয়ে কাগজপত্র ও ড্রাইভারে লাইসেন্স পরীক্ষা করে। যেসব গাড়ির কাগজপত্র নেই, সেসব গাড়ি ফিরিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে জড়ো হয় নটরডেম কলেজ ও মতিঝিল আইডিয়ালের শিক্ষার্থীরা। তারা সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে স্লোগান দেয় এবং পরে কয়েকটি গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে তারা চালক ও গাড়ির কাগজপত্র চেক করে। তবে তারা কোনও গাড়ি ভাঙচুর করেনি। নটডেমের শিক্ষার্থী মিশু সকালেরসময়কে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছি। কোনও গাড়ি ভাঙচুর করছি না। আমরা সড়কের সব হত্যার বিচার চাই। যেসব গাড়ির লাইসেন্স নেই, সেগুলো সড়কে নিরাপদ না হওয়ায় চলতে দেওয়া হচ্ছে না।
শাহবাগের দিক থেকে আসা স্বাধীন পরিবহনের একটি বাস থামায় সাদা ইউনিফর্ম পরা কিছু ছাত্র। তারাই গাড়িটি কাওরানবাজার সিগন্যালে থামায়। চালকের কোনও লাইসেন্স না থাকায় ছাত্ররা যাত্রীদের বলে, আপনারা নেমে যান, আমরা গাড়ির কিছু করবো না। এই গাড়ি নিরাপদ না। এ সময় উল্টোপথে গাড়ি চালানোর জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও পুলিশের গাড়ি ফিরিয়ে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের যে ৯ দফা দাবি…
১. বেপোরোয়া ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে।
২. নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর ঐ দিনের বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাতে স্পিড ব্রেকার দিতে হবে।
৫. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।
৬. শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে, থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে।
৭. শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবে না।
৯. বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না।