Warning: Attempt to read property "display_name" on bool in /home11/sokalers/public_html/wp-content/plugins/wordpress-seo/frontend/schema/class-schema-person.php on line 118

Warning: Attempt to read property "user_email" on bool in /home11/sokalers/public_html/wp-content/plugins/wordpress-seo/frontend/schema/class-schema-person.php on line 144

Warning: Attempt to read property "display_name" on bool in /home11/sokalers/public_html/wp-content/plugins/wordpress-seo/frontend/schema/class-schema-person.php on line 151

বিষয় :

শ্রদ্ধা জানাতে বধ্যভূমিতে জনস্রোত


১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭ ৮:৫৩ : পূর্বাহ্ণ

সকালেরসময় রিপোর্ট :: আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকেই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল নামে রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।

ঢাকা সিটি কলেজ, মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, লালমাটিয়া বালিকা বিদ্যালয়সহ শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এসেছিলেন রায়েরবাজারে।

এই স্মৃতির বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই এসেছেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় সকাল থেকেই মুখর হয়ে ওঠে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ।

আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত ও জঙ্গিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। এ দেশে জঙ্গিবাদের স্থান নেই আর কখনও স্থান পাবেও না।

একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত পেলে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত আসবে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জামায়াতের পরিকল্পনায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। জামায়াত নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা জামায়াত নিষিদ্ধে সব ধরনের প্রচেষ্টা নিচ্ছি।

নতুন প্রজন্মকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, চোখ কান খোলা রাখতে হবে। জামায়াতে ইসলামী বিএনপির কাঁধে ভর করে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। কেউ যেন নির্বাচন বানচাল করতে না পারে। দেশ গড়তে নতুন প্রজন্মকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।

১৪ ডিসেম্বর জাতির ইতিহাসে এক বেদনা ঘন দিন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি ঘাতক বাহিনী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল পরাক্রমের সামনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতেছিল। তারা বেছে বেছে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দার্শনিক ও সংস্কৃতিক্ষেত্রের অগ্রগণ্য মানুষকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। পাকিস্তানি ঘাতকদের এ বর্বর হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছিল রাজাকার-আলবদর বাহিনী।

মহান মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে ১৪ ডিসেম্বর এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছিল ঘাতকেরা। বিজয় অর্জনের পর রায়েরবাজারের পরিত্যক্ত ইটখোলা, মিরপুরসহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে একে একে পাওয়া যায় হাত-পা-চোখ বাঁধা দেশের খ্যাতিমান এই বুদ্ধিজীবীদের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ