বিষয় :

শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করবে সরকার : প্রধানমন্ত্রী


১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ৯:৪৭ : অপরাহ্ণ

সকালেরসময় ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোর শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এসব বিষয় মনিটর করবে। তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে এখন অনেক মেডিক্যাল কলেজ গড়ে উঠছে। কিন্তু সেগুলোতে পড়াশোনাটা কেমন হচ্ছে তা আমাদের দেখতে হবে। সেখানে প্রকৃত ডাক্তার গড়ে উঠছে কি না-সেটা আমাদের দেখা দরকার। একমাত্র মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় পারবে তা নজরদারিতে রাখতে।

বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও কনভেনশন সেন্টার, ডায়াগনস্টিক ও অনকোলজি ভবন এবং ডক্টরস’ ডরমেটরির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। খবর বাসসের। শেখ হাসিনা বলেন, একটা মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত করা যায়, সে ব্যবস্থাটা আমরা করতে চাই। চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন করতে চাই। আর বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তুলতে বহুমুখী পরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে রাজশাহীতে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। রাজশাহী এবং রংপুরে যে সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে সেগুলোকে এই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এফিলিয়েটেড হতে হবে। চট্টগ্রামে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। চট্টগ্রাম এবং আশপাশের জেলার যে কয়টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে সেগুলো এই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এফিলিয়েটেড থাকবে। ঠিক সেইভাবে সিলেটে যে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হবে তার সঙ্গে সিলেটের সবগুলো মেডিক্যাল কলেজ এফিলিয়েটেড থাকবে।

তিনি বলেন, এখনও যেসব বিভাগে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় নাই সেগুলো বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এফিলিয়েটেড থাকবে, কেবল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ বাদে। আর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে এফিলিয়েটেড সেটা ঐভাবেই থাকবে। এর বাইরে যেগুলো নতুন সব সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ যখন ঐ বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে তার সঙ্গে এফিলিয়েটেড হয়ে যাবে। শেখ হাসিনা বলেন, এসব মেডিক্যাল কলেজে কি পড়াশোনা হচ্ছে, আদৌও সেখানে কোন পড়াশোনা হচ্ছে কি না, সত্যিকার ডাত্তার তৈরি হচ্ছে নাকি রোগী মারা ডাক্তার হচ্ছে সেটা আমাদের দেখা দরকার।

তিনি বলেন, মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কেবল পোষ্ট গ্রাজুয়েট স্টাডি এবং রিসার্চ হবে আর গ্রাজুয়েশনসহ অন্যান্য কর্মকাণ্ড সব মেডিক্যাল কলেজে সম্পন্ন হবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেভাবে হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়র সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কনক কান্তি বড়ুয়া অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং ঢাকাস্থ কোরীয় রাষ্ট্রদূতের পক্ষে চোও মিন জো বক্তৃতা করেন। প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মো. জুলফিকার রহমান অনুষ্ঠানে প্রকল্পের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, বিদেশি কূটনিতিক, শিক্ষাবিদ এবং পদস্থ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ