বিষয় :

ভোক্তার অভিযানে বাধা দিলে বাজার কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা


নিউজ ডেস্ক  ৬ এপ্রিল, ২০২৩ ৩:৫০ : পূর্বাহ্ণ

দেশের প্রতিটি বাজার নকল ও ভেজাল কসমেটিকস পণ্যে ভরে গেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর সংরক্ষণ অধিদপ্তর। নকল ও ভেজাল প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়ে সংস্থাটি বলছে, ভোক্তা অধিদপ্তরের কোনো অভিযানে বাধা দেয়া হলে সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে ভোক্তা অধিদপ্তরের কসমেটিকস পণ্য আমদানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, মৌলভীবাজারে ভোক্তা অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে, এটা খুবই দুঃখজনক। পরবর্তীকালে যেসব বাজারে অভিযান পরিচালনা হবে, সেখানে কোনো ঝামেলা হলে বাজার ব্যবসায়ী কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, দেশ নকল ও ভেজালে ভরে গেছে। এমন কোনো কসমেটিকস নেই, যা নকল হচ্ছে না। অনেক দেশের ভালো কিছু ব্র্যান্ডকেও নকল করা হচ্ছে। সেগুলোয় এমন সব কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে, যেগুলোতে ত্বকের ক্যানসার থেকে শুরু করে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।

সফিকুজ্জামান বলেন, কাপড়ে ভেজাল বেশি হয় না, কিন্তু কসমেটিকসের অবস্থা ভয়াবহ। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। গত বছর একটা মিটিংয়ে কিছু ফাইন্ডিংস পেয়েছিলাম। এতে দেখা গেছে, কসমেটিকস মূলত প্যাকেজাত হয়, খোলা বিক্রি হয় না। কিন্তু প্যাকেটজাত পণ্যগুলোয় বিএসটিআইয়ের কোনো মোড়ক থাকে না। 

তিনি বলেন, কসমেটিকসের বড় একটা অংশই আমদানি হয়। কিন্তু অভিযানে দেখা গেছে, যে পণ্যগুলো বিদেশ থেকে আসছে, সেগুলোর কোথাও আমদানিকারকদের কোনো তথ্য নেই। এমনকি খুচরা বাজার থেকে কিনতে গেলে বিএসটিআইয়ের কোনো সিল থাকে না। প্রতিটা পণ্য দেশে এলে অবশ্যই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন থাকতে হবে। দামটাও সেভাবে নির্ধারণ হবে।

আসন্ন ঈদ কেন্দ্র করে দাম বাড়ালে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়ে ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ কিছু পণ্য অনেক বিক্রি হয়, এর মধ্যে কসমেটিকস অন্যতম। কসমেটিকস সারা বছর যা বিক্রি হয়, ঈদেই তার চেয়ে বেশি বিক্রি হয়। কিন্তু ঈদকে টার্গেট করে ব্যবসায়ীরা নতুন করে মূল্য বাড়ায়।

অনেক ক্ষেত্রে একই পণ্যের ওপর একাধিক ট্যাগ ব্যবহার করে। দোকানের পেছনে একটা জায়গা থাকে, সেখানে নিয়ে ইচ্ছামতো দাম নির্ধারণ করা হয়। ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান নিয়মিত চলবে। কোনো ধরনের নকল, ভেজাল বা মূল্যবৃদ্ধি হলে অভিযানের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page