ভারী বর্ষনে প্লাবিত চট্টগ্রাম


১২ জুন, ২০১৮ ১:৪৬ : পূর্বাহ্ণ

সকালেরসময় চট্টগ্রাম রিপোর্ট:: সারাদিন বৃষ্টির কারণে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ। নিম্নচাপটি আরও উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিক থেকে অগ্রসর হয়ে সোমবার (১০ জুন) দিনগত মধ্যরাতের দিকে সীতাকুণ্ডের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদফতর। পাশাপাশি ভারী বর্ষণের সাথে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের আশঙ্কা করছে সংস্থাটি। নিম্নচাপের প্রভাবে সোমবার (১১ জুন) সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ।

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, মৌসুমী নিম্নচাপটি বর্তমানে সন্দ্বীপ ও তসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারে মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার দমকা বা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৫০ কিলোমিটার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবে সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী অফিসার মাহমুদুল আলম সকালেরসময়কে জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট লঘুচাপটি মৌসুমী নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে সারাদিন থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। রোববার থেকে আজ পর্যন্ত দিনে ২৪ ঘণ্টায় ৯৮ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৩ নম্বর সতর্কতা স্থানীয় সর্তকতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামে বিভাগে পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিকে, ভারীবর্ষণের কারণে পাহাড়ধসে দুর্ঘটনা ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় রোববার নগরের বাটালি হিল, মিয়ার পাহাড়. একে খান ও আমিনজুট মিল এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির রহমান সানি সকালেরসময়কে বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় মাইকিং করে নগরের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের সরে যেতে বলা হয়েছে। যেহেতু ভারী বর্ষণ হচ্ছে, সেহেতু পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। যেকোন দুর্ঘটনা ঠেকাতে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে তাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এদিকে সোমবারের ভারী বৃষ্টিপাতে নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সন্ধ্যার পর বৃষ্টির চাপ আরও বেড়ে যাওয়ায় নগরের নিম্নাঞ্চল হাঁটু থেকে কোমর সমান পানির নিচে তলিয়ে যায়।

এতে দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ঈদের বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের। বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার কারণে তীব্র যানজটেরও সৃষ্টি হয়। ভারী বর্ষণে পুরো চকবাজার এলাকা ডুবে যায়। সন্ধ্যার দিকে হাঁটু সমান পানি হলেও রাত ৮টার পর কোমর পরিমাণ পানি জমে যায়।বিরামহীন বৃষ্টিতে বাকলিয়া, আগ্রাবাদ, হালিশহর,সহ অন্যান্য এলাকায় বেশিরভাগ বাসার নিচ তলা তলিয়ে যায়। ফলে এসব এলাকার বাসিন্দাদেরকে জন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ