বিষয় :

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে–প্রধানমন্ত্রী


নিউজ ডেস্ক  ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ৫:২৪ : অপরাহ্ণ

আমার এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই প্রীতির সম্পর্ককে সুসংহত করে আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই। বুধবার (১৪সেপ্টেম্বর) গণভবনে সদ্য সমাপ্ত হওয়া ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনানো শুরু করেন।

লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী এবং বন্ধুরাষ্ট্র। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। ভাষা ও সংস্কৃতির সাযুজ্যের কারণে আমাদের সম্পর্ক প্রগাঢ় হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধকালে সহায়তা ও স্বাধীনতা পরবর্তীকালে সহযোগিতা এ বন্ধুত্বকে বিশেষত্ব প্রদান করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশ ভারত অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই প্রভূত সাফল্য অর্জন করেছে।

ভারত সফরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। লিখিত বক্তব্যে সেগুলো তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর, যার মাধ্যমে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত। ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ও অন্যান্য আন্তসীমান্ত রেল সংযোগে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হবে।

চিনি, পেঁয়াজ, আদা, রসুনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য রপ্তানি বন্ধের আগে বাংলাদেশকে আগাম বার্তা দিতে ভারত সরকার পদক্ষেপ নেবে দেশটি জানিয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের মুজিবনগর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ঐতিহাসিক ‘স্বাধীনতা সড়ক’ চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান সরকার প্রধান। তিনি বলেন, নদী দূষণ এবং অভিন্ন নদ-নদীর ক্ষেত্রে নদীর পরিবেশ এবং নদীর নাব্যতা উন্নয়নের লক্ষ্যে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রেলওয়ে সেবার মান বাড়াতে আইটি সলিউশন বিনিময় করা হবে বলেও জানান তিনি।

ভারত সফরে সহযোগিতার যে সকল ক্ষেত্র চিহ্নিত হয়েছে এবং বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করলে উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page