বিষয় :

পড়ালেখার পাশাপাশি ক্রীড়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি–প্রধানমন্ত্রী


নিউজ ডেস্ক  ২০ অক্টোবর, ২০২২ ২:৩৪ : অপরাহ্ণ

পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা ও শরীর চর্চার মাধ্যমে শরীর ও মনকে সুস্থ, সুন্দরভাবে গড়ে তোলা যায়। খেলাধুলার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো, দলগত প্রচেষ্টা ও নেতৃত্ব প্রদানের গুণাবলি অর্জন করতে পারে। এ জন্য শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়াকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। ক্রীড়াকে উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করার জন্য ৬ এপ্রিলকে জাতীয় ক্রীড়া দিবস ঘোষণা করা হয়েছে- বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) ৪৯তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় প্রতিযোগিতা উপলক্ষে দেয়া বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে শারীরিক ও ক্রীড়া শিক্ষাকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেন শারীরিক ও মনোগত বিকাশের মাধ্যমে সংবেদনশীল, যুক্তিনির্ভর ও পরোপকারী নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে, সে জন্য স্কাউটিং এবং গার্লগাইডকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ক্রীড়াকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ চলমান আছে। ক্রীড়া নিয়ে উচ্চ শিক্ষার দ্বারও আমরা অবারিত রেখেছি। বিদ্যমান কিছু স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, মাধ্যমিক পর্যায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব জাতীয় এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের শ্রেষ্ঠ ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শারীরিক শিক্ষা বিভাগ জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে দেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি জাগরণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। আশা করি, ময়মনসিংহ শহরে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দিনগুলো প্রিয় শিক্ষার্থীদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, এক অভূতপূর্ব মুক্তি-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রগতিশীল রাষ্ট্রে উন্নীত করার জন্য জাতির পিতা স্বপ্ন দেখতেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত অসাম্প্রদায়িক, মননশীল, মুক্ত বুদ্ধিসম্পন্ন, কর্মনিষ্ঠ ও দেশ প্রেমিক নাগরিক গড়ে তোলার জন্য প্রণীত শিক্ষানীতি ২০১০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার প্রয়োজনীয় সব কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। শিক্ষানীতি ২০১০ পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ শিগগির একটি বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে দক্ষ, আত্মনির্ভরশীল, আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page