বিষয় :

নিজেদের প্রয়োজনে শক্তি বৃদ্ধি: মিয়ানমার


২ মার্চ, ২০১৮ ১:৫২ : পূর্বাহ্ণ

সকালেরসময় ডেস্ক::  সড়ক নির্মাণ ও অভ্যন্তরীণ কাজে নিরাপত্তার প্রয়োজনে বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের ওপারে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে দাবি করে মিয়ানমার বলেছে, বাংলাদেশ তাদের লক্ষ্য নয়। শুক্রবার বিকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির পক্ষ থেকে ওই দাবি করা হয়।

তুমব্রু সীমান্তের ওপারে বৃহস্পতিবার সকালে মিয়ানমারের হঠাৎ শক্তি বৃদ্ধি এবং গুলির ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এবং শূণ্য রেখায় অবস্থান নিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই পতাকা বৈঠকে অংশ নেয় দুই পক্ষ। এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত লিউন উকে তলব করে সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ ঘটানোর প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টার পাতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান। আর মিয়ানমারের সাত সদস্যে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজিপির ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সুচায়ে হু।

বৈঠক শেষে ফিরে এসে মঞ্জুরুল হাসান খান সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে মিয়ানমার দাবি করেছে, নিজেদের নিরাপত্তায় সীমান্ত অঞ্চলের বিভন্ন সময়ে সেনা বা বিজিপি মোতায়েন করে তারা। তার অংশ হিসেবে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টহলও দেওয়া হয়। এটি সম্পূর্ণ মিয়ানমারের নিজস্ব নিরাপত্তার প্রয়োজনে।

এই বিজিবি কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সীমান্তে মিয়ানমারের দিক থেকে ফাঁকা গুলি ছোড়ার বিষয়ে বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ক্ষেত্রে বিজিবিকে অবহিত করতে বলা হয়।

অবহিত করার বিষয়ে বিজিপি সম্মতি প্রকাশ করলেও ফাঁকা গুলি ছোড়ার কথা তারা অস্বীকার করে এবং শূন্য রেখায় আশ্রয় নিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আবারও আশ্বস্ত করে বলে বিজিবি কমান্ডার জানান।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page