বিষয় :

দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক ১১ নভেম্বর, ২০২৩ ১:৩৬ : অপরাহ্ণ

অবশেষে পর্যটকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো আজ। ১৮ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ও কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন প্রকল্পের উদ্বোধন করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজার।

শনিবার বেলা ১টায় কক্সবাজার-দোলহাজারী রেলপ্রকল্প অনুষ্ঠানস্থল থেকে এটির উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হওয়া কক্সবাজার রেল যোগাযোগের উদ্বোধনের পর আইকনিক রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে পতাকা উড়িয়ে হুইসেল বাজানোর মাধ্যমে যাত্রা শুরু হবে এ রুটে ট্রেনের। এরপর প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে চড়ে রামু পর্যন্ত ভ্রমণ করবেন। সেখানে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন তিনি।

এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ রেলের সাথে কক্সবাজার সংযুক্ত হলো। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম। আজকের দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটা গর্বের দিন।

এর আগে বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া শেষে শিশুদের সঙ্গে ছবি তুলেন। এরপরই মঞ্চে উঠে বসেন। সেখানে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি।

দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১০ সালের ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।

মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে টেন্ডার হলে দোহাজারি-চকরিয়া এবং চকরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনসট্রাকশন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পায়।

কার্যাদেশ দেওয়ার পর ২০১৮ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সেই হিসেবে অনুমোদানের ১৩ বছর ৪ মাস ৪ দিন পর প্রকল্পটির উদ্বোধন হচ্ছে। এই ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।

এসএস/ফোরকান

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page