বিষয় :

তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের দাপট


৯ জানুয়ারি, ২০১৮ ৬:০৫ : পূর্বাহ্ণ

সকালেরসময় রিপোর্ট :: হাড়কাঁপুনি শীতের দাপটে নাকাল পদ্মাপাড়ের মানুষ। টানা শৈত্যপ্রবাহে ছিন্নমূল ও কর্মজীবী মানুষেরা যারপরনাই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। মঙ্গলবার রাজশাহী অঞ্চলের তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও কমেনি শীতের তীব্রতা।

সোমবার সকাল ৯টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিনও ছিল একই তাপমাত্রা। তবে মঙ্গলবার তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক শরীফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। তবে সকাল সাড়ে ৮টায় তা আরও নেমে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। এটাই দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

সকাল থেকে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে ভারী যান চলাচল করছে আলো জ্বালিয়ে। দাঁতে দাঁত ঠেকানো শীতের তীব্রতায় কাতর হয়ে পড়েছেন কর্মজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। টানা শৈত্যপ্রবাহে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা ও কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। উত্তরের হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে।

গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে রাজশাহীর ওপর দিয়ে বয়ে চলা মৃদু ও মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে জনজীবনে এই অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। টানা শৈত্যপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে রাজশাহীসহ গোটা উত্তরাঞ্চল। ভোর ও সন্ধ্যার পর হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

শীতের এই তীব্রতায় বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ। রাস্তায় কমে গেছে যান চলাচল। সন্ধ্যার পর ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বেশিরভাগ দোকানপাট ও হাট-বাজার। গ্রামগুলোতে শীতের প্রকোপ আরো বেশি। নানান রোগে ভুগছে শিশু ও বয়স্করা।

রেকর্ডভাঙা এই শীতের কারণ জানতে চাইলে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত আবহাওয়া কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, এ বছর শীতের প্রকোপ অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি। চলমান শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘন কুয়াশা ও ঠাণ্ডা বাতাস। এতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে।

আবহাওয়া কর্মকর্তা বলেন, এরকম অবস্থা আরও ২-৩ দিন থাকবে। ধীরে ধীরে রাতে কুয়াশার ঘনত্ব যখন বাড়তে শুরু করবে। তখন তাপমাত্রাও বাড়তে থাকবে। তবে এতে শৈত্যপ্রবাহ কাটলেও শীত কমবে না।

রাজশাহীতে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচেই অবস্থান করবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, তাপমাত্রা সাধারণত ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর ৮ ডিগ্রির নিচে নামলে মাঝারি এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সে অনুযায়ী, রাজশাহীতে এখনও তীব্র শৈত্যপ্রবাহ চলছে।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page