ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুসারে, আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে অনলাইন ও কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। এ রুটের ট্রেন চালুর প্রথম তিনদিন অর্থাৎ ১ থেকে ৩ ডিসেম্বরের টিকিট দেয়া হচ্ছে আজ।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, টিকিট ছাড়ার ঘণ্টা দু-একের মধ্যে তিনদিনের বেশির ভাগ আসনই ‘বুকড’ হয়ে গেছে।নিয়ম অনুযায়ী ১ ডিসেম্বর ট্রেন চালু হলে ২১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) অর্থাৎ ১০ দিন আগেই টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরুর কথা ছিল। কিন্তু যথাসময়ে ট্রেনটি বাণিজ্যিক চলাচল অনুমোদন না হওয়া, চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্য আসন রাখা নিয়ে সৃষ্ট সংশয়ের কারণে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেনি রেলওয়ে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটির ৮১৪ এবং কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ট্রেনের নম্বর ৮১৩। ঢাকা থেকে মঙ্গলবার এবং কক্সবাজার থেকে প্রতি সোমবার ট্রেনটির সাপ্তাহিক বন্ধ রাখা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৮১৪ নং ট্রেন ঢাকা থেকে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছবে দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটে। এরপর চট্টগ্রাম থেকে ভোর ৪টায় ছেড়ে কক্সবাজার পৌঁছবে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে। পথে বিমানবন্দর স্টেশনে রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে পৌঁছে ৫ মিনিট যাত্রা বিরতি দেবে।
অপর দিকে ৮১৩ নম্বর ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে ছাড়বে প্রতিদিন দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে, চট্টগ্রাম পৌঁছাবে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে। ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে ছেড়ে যাবে বিকাল ৪টায়। ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে রাত ৮টায় পৌঁছে ৩ মিনিট বিরতি দিয়ে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছবে রাত ৯টা ১০ মিনিটে।
ননস্টপ ট্যুরিস্ট ট্রেন হিসাবে ৫৩৫ কিলোমিটার বাণিজ্যিক দূরত্বের এই পথে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের শোভন চেয়ার টিকিটের ভাড়া ৬৯৫ টাকা, এসি চেয়ার শ্রেণীর জন্য ১ হাজার ৩২৫ টাকা, এসি সিটের জন্য ১ হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থ শ্রেণীর জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৩৮০ টাকা।
তবে কক্সবাজার এক্সপ্রেসে চট্টগ্রামের জন্য বরাদ্দ দেয়া দুটি কোচে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ভ্রমণে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের মতোই ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের। গত ১১ নভেম্বর দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের সময় ঢাকা-কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার দুটি ট্রেন চালানোর নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এসএস
