সকালেরসময় ডেস্ক :: আজ ১৮ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযথভাবে পালনের লক্ষ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নানা কর্মসূচি পালন করছে।
দিবসটি উপলক্ষে র্যালি, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সেমিনার, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ইত্যাদি অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে আলোচনা সভা, র্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হবে।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি অভিবাসী নারী-পুরুষের শ্রম সেসব দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকেও সমৃদ্ধ করছে। অভিবাসী শ্রমিকদের প্রেরিত অর্থ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকেই জীবন ও জীবিকার প্রয়োজন ছাড়াও নানা কারণে মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে, এক দেশ থেকে অন্য দেশে অভিবাসী হয়েছে। মানব সভ্যতার বিকাশে অভিবাসন ও অভিবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধোত্তর কালে বিশ্বব্যাপী জাতীয়তাবাদী চেতনার উম্মেষ সত্ত্বেও বর্তমান বিশ্বে নগর সভ্যতার সম্প্রসারণের প্রয়োজনে বৃহদাকার কর্মযজ্ঞে অভিবাসী জনগোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতা ব্যাপকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। জাতিসংঘ ঘোষিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায়ও এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে স্থান পেয়েছে। এর প্রেক্ষিতে অভিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রতি যথাযথ সম্মান জানাতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী তার বাণীতে বলেছেন, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মানব পাচার বিরোধী আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের পাশাপাশি অভিবাসন ব্যয় সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বিশ্বের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অভিবাসীগণ অন্যতম সহায়ক শক্তি। অভিবাসীদের প্রেরিত অর্থে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সমৃদ্ধকরণে অভিবাসী কর্মীদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার অভিবাসন ব্যবস্থাপনাকে স্বচ্ছ ও গতিশীল করতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করেছি। বিদেশে গমনেচ্ছু কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।’
তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বে বিভিন্ন দেশে কর্মরত ও বসবাসরত অভিবাসী ভাইবোন ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং এ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।