চট্টগ্রাম মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জে ২০১৫ সালে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে স্কুল ছাত্রকে খুনের ঘটনায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালত এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিন আসামি হলো- কাজী সরওয়ার উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, মীর হোসেন। এদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম ও মীর হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে হোসনে মোবারক রুবেল নামে আরেক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) একেএম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ২০১৫ সালের ৬ জুন জোরারগঞ্জের উত্তর মোবারকঘোনা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্র ফারহান সাকিবকে হত্যার দায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রায় প্রসঙ্গে কথা বলেন পিপি একেএম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম ও মীর হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কাজী সরওয়ার উদ্দিনকে অপর একটি ধারায় আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
হত্যার শিকার ফারহান সাকিব জোরারগঞ্জের উত্তর মোবারকঘোনা এলাকার মো. নাছির আহম্মদের ছেলে। তিনি জোরারগঞ্জ জেবি স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ২০১৫ সালের ৬ জুন জোরারগঞ্জের উত্তর মোবারকঘোনা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ফারহান সাকিবকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় তার বড় ভাই শহিদুল ইসলাম রুবেল বাদি হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। রায় ঘোষণার পর আদালতে বাদি শহিদুল ইসলাম রুবেল বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। ভাই হত্যার বিচার পেয়েছি। দ্রুত এ রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।