নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের কয়েকটিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও অধিকাংশ কেন্দ্রে দখল, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে ভোটযুদ্ধ।
দিনব্যাপী সহিংসতায় মারা গেছে এক কিশোরসহ দুই জন। পৃথক দুই ইউনিয়নে এসব ঘটনা ঘটেছে। সবশেষ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুর শুক্কুর (৩৫)। নিহত কিশোরের নাম তাসিফ।
জানা যায়, সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাতকানিয়ার বাজালিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আব্দুর শুক্কুর নামে একজন নিহত হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান বলেন, বাজালিয়ার নির্বাচনী সহিংসতায় একজন মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশের একটি টিম আছে।
কেরানীহাট মা ও শিশু হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রাকিব উদ্দিন বলেন, বাজালিয়া থেকে নির্বাচনী সহিংসতায় শুক্কুর নামে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে বাজালিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বোর্ড অফিস কেন্দ্রে নৌকা ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আব্দুর শুক্কুর গুলিবিদ্ধ হন।
পরে তাকে স্থানীয় কেরানীহাট মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শুক্কুর নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী তাপস কান্তি দত্তের অনুসারী।
এর আগে দুপুরে সাতকানিয়া উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর কেন্দ্রে নির্বাচনী সহিংসতায় এক কিশোর নিহত হয়েছেন। নিহত কিশোরের নাম তাসিফ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, নলুয়ায় একজন মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছি। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমরা ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছি। পরে বিস্তারিত বলতে পারব।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মিজানুর রহমান অভিযোগ করেছেন, নিহত তাসিফ তার নিকটাত্মীয়। ওই কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে বহিরাগতরা।
বাজালিয়া ও ঢেমশা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছুক্ষণের জন্য ওই সব কেন্দ্রে ভোট স্থগিত রাখা হয়েছিল।
এছাড়া সকাল ১০ টার দিকে সোনাকানিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারপ্রার্থী সেলিম উদ্দীন চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনে সহিসংতার খবর পেয়ে স্বয়ং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান।
দুপুরের দিকে তিনি সাতকানিয়ার আমিলাইশের ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। সেখানে তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন।
এস এস/