বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ষোলশহর দপ্তরের এসবিএ ও বিদ্যুৎ শ্রমিকলীগের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এম.এ রহিমের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অক্সিজেন ৩৩/১১ কেভি জিআইএস উপ কেন্দ্রের তাঁর তিন সহকর্মী বিদ্যুৎ দপ্তরের চেয়ারম্যান বরাবর এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারীরা হলেন- অক্সিজেন ৩৩/১১ কেভি জিআইএস উপকেন্দ্রের সুইস বোর্ড এটেনডেন্ট (এসবিএ) মো: গিয়াস উদ্দীন, মোঃ মহশিন কবির ও মো: আঃ হালিম ছিদ্দিকী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ ষোলশহর চট্টগ্রামের আওতাধীন অক্সিজেন ৩৩/১১ কেভি জিআইএস উপকেন্দ্রে এম.এ রহিমসহ ৪ জন এসবিএ পদস্থ কর্মচারী রয়েছে। তাদের প্রতিমাসে সেই মোতাবেক রোষ্টার তৈরি হয়।
কিন্তু রোষ্টার অনুযায়ী ৪ জন এসবিএ পালা করে ডিউটি করার নিয়ম থাকলেও এম.এ রহিম (এসবিএ-‘ডি’) দীর্ঘদিন থেকে কোন ডিউটি করে না। তিনি ট্রেড ইউনিয়নের ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ৩ জনের উপর সমস্ত ডিউটির বোঝা চাপিয়ে দেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযোগকারীরা আপত্তি জানালে তাদের নানা ভাবে এম এ রহিম ভয়ভীতি দেখান। তিনি ডিউটি না করেই দপ্তর থেকে বেতন ওভারটাইমসহ সকল আর্থিক সুবিধা নিয়মিতভাবে গ্রহণ করে থাকেন।
অভিযোগে দাবি করা হয়, এম এ রহিম তাঁর হাজিরা খাতা এবং পালাবিবরণী বইয়ে কোন প্রকার উপস্থিতি ছাড়া দপ্তর থেকে কিভাবে তাকে আর্থিক সুবিধাদি প্রদান করা হয় তাও অভিযোগকারীদের বোধগম্য নয়। তিনি ২/৩ মাস পর পর একবার কর্মস্থলে এসে একসঙ্গে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন।
এভাবে আর এম.এ রহিমের ডিউটি করতে পরবো না মর্মে দপ্তর প্রধানকে বিভিন্ন সময় জানালেও তিনি নির্বিকার থাকেন। এ বিষয়ে ইতোপূর্বে জোনের প্রধান প্রকৌশলীকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনিও তা কোন সুরাহা করেনি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। তাই এই চিঠিতে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে এম.এ রহিম সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তখন তিনি বলেন, আমি মাঝেমধ্যে সংগঠনের কাজে বাইরে থাকি। এছাড়া নিয়মিত অফিস ডিউটিতে থাকি। এথনও অফিসে আছি। কিছু ষড়যন্ত্রকারী এ অভিযোগগুলো দিয়েছে, এসব অভিযোগ অভিযোগকারিরা দেয়নি, তাহলে কারা দিয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কল কেটে দেন।
এসএস/ফোরকান