মিতু হত্যা : বাবুল আক্তারের করা মামলা পুনঃতদন্তের নির্দেশ


সকালের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০২১ ৩:২৬ : অপরাহ্ণ
মিতু হত্যা,বাবুল আক্তার, মামলা

চট্টগ্রামের সময় : চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বুধবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালতে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, পিবিআইযের প্রতিবেদনের ওপর আমরা আদালতে নারাজি দিয়েছিলাম। শুনানি শেষে আজ আদালত আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

একই সঙ্গে আদালত মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটি পুনরায় চলবে।

গত ১৪ অক্টোবর দুপুরে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালতে আবেদনটি করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী। গত ২৭ এ বিষয়ে আদালতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে ওই আদালত আজ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

নারাজি আবেদনে বলা হয়েছিল, বাবুল ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি এ মামলার বাদী ছিলেন। তাকে আসামি করতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

সিনিয়র অফিসার থেকে মামলার তদন্তভার নিয়ে জুনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা দিয়ে মামলা তদন্ত করা বাবুল আক্তারের প্রতি অসম্মানজনকও। মূলত মহল বিশেষের কথা মোতাবেক সিনিয়র তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজ না করায় জুনিয়রকে দিয়ে মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জড়ানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। খুনিরা গুলি করার পাশাপাশি তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। ঘটনার সময় বাবুল আক্তার ঢাকায় ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার নিজে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ।

এ ঘটনায় গত ১২ মে ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই। প্রতিবেদনে পিবিআই বলছে, মিতু হত্যা ছিল ‘কন্ট্রাক্ট কিলিং’। বাবুল আক্তারের পরিকল্পনায় এটা সংঘটিত হয়।

মিতুকে হত্যার জন্য তিন লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এরপর একইদিন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন।

এর আগে গত ১০ মে মামলার বাদী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ে ডেকে আনা হয় বাবুল আক্তারকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১২ মে তাকে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেনের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পিবিআই।

শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট সরোয়ার জাহানের আদালত বাবুল আক্তারকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

এস এস/

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ