চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একরামুল সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন তার এক নারী সহকর্মী। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই নারী। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।
ডিসি সকালের-সময় ডট কমকে বলেন, বোয়ালখালী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও’র বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের একটি অভিযোগ আমি পেয়েছি। বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করে দেখার জন্য জেলার স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ে অন্যদের সামনে লজ্জা দেওয়ায় তথ্যসেবা কর্মকর্তা এই অভিযোগ এনেছেন। তারপরও আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।
অভিযোগপত্রে ওই নারী বলেন, বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে ফোন করে ইউএনও একরামুল সিদ্দিকী তার অফিসে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে তিন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। ওই তিনজনের সামনে একরামুল তাকে নিগৃহীত করেছেন। গালিগালাজ করেছেন। এ কারণে তিনি সেখানে কেঁদে ফেলেন। তার একঘণ্টা পর ওই তিনজন অফিস থেকে চলে যাওয়ার পর একরামুল তাকে যৌন হয়রানি করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউএনও সকালের-সময়কে বলেন, প্রত্যাশা প্রকল্পে প্রেসক্লাবের একজন সদস্যকে রাখার জন্য তাকে আমি বলেছিলাম। এরপর বুধবার দুপুরে বোয়ালখালী প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ তিন সাংবাদিক এসে প্রসঙ্গটি আবার তুললে আমি তাকে অফিসে ডেকে নিই। এ সময় তাকে প্রেসক্লাব থেকে একজনকে ওই প্রকল্পে রাখার নির্দেশনা দিই। এর বাইরে সে সময় আর কোনও কথা তার সঙ্গে হয়নি।
এ সময় ওই অভিযোগ দায়েরের পেছনে মহিউদ্দিন নামে স্থানীয় এক সাংবাদিকের যোগসাজশ থাকতে পারে বলেও ধারণা করছেন ইউএনও। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কাল অফিসে আসার সময় মহিউদ্দিন নামে স্থানীয় এক সাংবাদিককে তথ্যসেবা কর্মকর্তা সঙ্গে নিয়ে আসেন। আমি তাকে আমার অফিসে যেন না আনে সেজন্য নিষেধ করেছিলাম। স্থানীয়রা তাদের বিষয়ে আমাকে নানা কথা বলেছেন। তাই মহিউদ্দিনকে নিয়ে অফিসে না আসতে বলেছিলাম।