বোয়ালখালীতে মুসলিম স্ত্রীর লাশ পুড়িয়ে ফেলায় হিন্দু স্বামী গ্রেপ্তার


সকালের-সময় রিপোর্ট  ২০ আগস্ট, ২০২১ ৭:৩৯ : অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামে মুসলিম স্ত্রীর লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টায় মধ্যে অভিযুক্ত প্রধান আসামি স্বামী বাবলু দে তনুকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাত ১টার দিকে উপজেলার জ্যৈষ্ঠপুরা বীণাপানি সংঘ পুজামণ্ডপ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার বাবলু দে স্থানীয় হারাধন দে’র বাড়ির অজিত দে প্রকাশ নুনা দে’র ছেলে। বাবলু বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। তার এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। জানা গেছে, নগরের বন্দরটিলায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করার সময় ওই এলাকার সেলুনের কর্মচারী বাবলু দে’র সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ইয়াছমিন আকতার এ্যানির।

তিন বছর আগে তারা পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করে। এক বছর শহরে থাকার পর গত দুই বছর ধরে তারা জ্যৈষ্ঠপুরায় চলে আসে। স্থানীয়দের দাবি, বাবলু মুসলিম মেয়ে বিয়ে করেছে এটা এলাকায় কেউ জানত না।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুমন দে জানান, বাবলু দে শহরের প্রবর্তক মোড়ে একটি সেলুনের দোকানে কাজ করত। ঘটনার পর সেখান থেকে সে গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। জ্যৈষ্ঠপুরা থেকে পালানোর প্রস্তুতিকালে বৃহস্পতিবার রাত ১টায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ব্যাপারে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, মামলাটি রহস্যজনক। আলামত পুড়িয়ে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। আসামিকে আজ শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমরা ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছি। এতে আসল রহস্য বের হয়ে আসবে।

উল্লেখ্য, গত ৩ আগস্ট ইয়াছমিন আকতার এ্যানির মৃত্যুর পর তড়িগড়ি করে তার লাশ হিন্দু রীতিতে পুড়িয়ে ফেলে স্বামী বাবলু দে। এ্যানির মৃত্যুর পর নিহতের মা-বাবা বাগেরহাটের মোংলা থানা থেকে এসে মেয়ের লাশ দেখতে চাইলে তাদের লাশ দেখতে দেয়নি বাবলু।

এ নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হলে গত ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা রোকসানা আকতার। এতে বাবলুসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page