পরিবেশবিধ্বংসী কর্মকাণ্ড

ফেঁসে যাচ্ছেন জিপিএইচ ইস্পাতের আলমাস শিমুল


নিজস্ব প্রতিবেদক ২১ মে, ২০২৩ ৪:৫০ : অপরাহ্ণ

২০১৯ সালে জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুলসহ ৩ জনকে আসামি করে চট্টগ্রাম বন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ।

মামলায় জিপিএইচ ইস্পাত কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অনুপ্রবেশ করে অবৈধভাবে পাহাড়কাটা, পাহাড়ি ছড়ার মুখে উঁচু বাঁধ নির্মাণ, ছড়ার পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেওয়া, ছড়ার গতিপথ ও স্বকীয়তা পরিবর্তন, পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলা, পরিবেশ-প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।

কিন্তু দীর্ঘ ৪ বছরেও মামলাটি কোনো গতি পায়নি। এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যে অভিযোগ সংশোধন করে মামলা থেকে একজন আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া, আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন, আপস-মিমাংসার অপেক্ষা, বাদীর বদলি হওয়াসহ নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে গেছে। অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে আলোচিত মামলাটি।

সর্বশেষ গত বছরের ১৩ অক্টোবর জিপিএইচ ইস্পাতের মালিক আলমাস শিমুল ও মামলার অন্য দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠন করা হয়। ১৯২৭ সালের বন আইনের ৩৩ এর ১ (গ) ধারায় চার্জ গঠন করেন চট্টগ্রাম বন আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ইয়াসমিন।পরবর্তীতে ৩১ অক্টোবর জিপিএইচ ইস্পাত কর্তৃপক্ষ এই চার্জের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা (রিভিশন মামলা নং-৯৪১/২০২২) দায়ের করে।

কিন্তু চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. আজিজুর রহমান ভূঁইয়া জিপিএইচ ইস্পাতের রিভিশন মামলাটি খারিজ করে দেন। এর মধ্য দিয়ে বন আদালতে জিপিএইচ ইস্পাতের বিরুদ্ধে মামলা চলতে আর কোনো বাধা রইলো না। জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে বন আদালতে ফেরত আসলেই শুরু হবে মামলার বিচারকার্য।

মামলার আসামিরা হলেন- সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নের কাজীপাড়া এলাকার মৃত ছালেহ আহম্মদের ছেলে মো. লিটন (৪০), একই এলাকার মৃত দিদারুল ইসলামের ছেলে মো. আলমগীর (৩২) ও নগরীর ফয়েজলেক লেকভ্যালি আবাসিক এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে জিপিএইচ ইস্পাতের মালিক আলমাস শিমুল (৫২)।

এ মামলার সাক্ষী ৪ জন। এরা হলেন, মামলার বাদী ফরেস্টার বিভাষ কুমার মালাকার, বনপ্রহরী এইচ এম নুরুল ইসলাম, মো. আব্দুল মালেক, মো. ওমর ফারুক।

২০১৯ সালে এ ঘটনার পরপরই বন বিভাগের তিন স্তরের তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তৎকালীন কুমিরা বিটের ফরেস্টার বিভাষ কুমার মালাকার। চার্জশিটে জিপিএইচ ইস্পাতের বিরুদ্ধে পরিবেশ ধ্বংস করে পাহাড় কেটে অপসারিত মাটি দিয়ে পাহাড়ি ছড়ায় লম্বা বাঁধ নির্মাণ ও ছড়ার পানিপ্রবাহ বন্ধ করে এর গতিপথ ও স্বকীয়তা পাল্টে দেওয়া এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

একইসাথে ছড়ায় কৃত্রিম বাঁধ নির্মাণ করায় ওই এলাকায় বসবাসরত হাজারো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নিত্য জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলার কথাও বলা হয়েছে। যার আর্থিক পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৫ লক্ষ ১৭ হাজার ৫০০ টাকায়। চার্জশিটে জিপিএইচ ইস্পাতের বিরুদ্ধে ১৫ হাজার ১৭৫ ঘনফুট পাহাড়কাটা ও প্রবাহমান ছড়ায় লম্বা বাঁধ নির্মাণে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলাটির এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল বেলা আনুমানিক এগারোটায় সীতাকুণ্ডের জঙ্গল বাঁশবাড়িয়া মৌজার আরএস দাগ নম্বর ৬২০ ও তৎসংলগ্ন পাহাড়ি ছড়া এলাকার পাহাড়ে বন বিভাগের ফরেস্টার বিভাষ কুমার মালাকার ও সাক্ষী আরও তিন বনপ্রহরী পরিদর্শনে যান। ওই এলাকাটি গেজেট নোটিফিকেশন অনুসারে ৭ জুন ১৯৩৫ সাল মূলে বন বিভাগের সংরক্ষিত বনভূমি এলাকা।

এলাকাটির পশ্চিমে জিপিএইচ ইস্পাতের বিশাল কারখানার অবস্থান। তবে কারখানার পূর্বে অবস্থিত সংরক্ষিত বনে সর্বসাধারণের সম্পূর্ণরূপে প্রবেশ নিষিদ্ধ। ওইদিন পরিদর্শনে বন কর্মকর্তারা দেখতে পান যে, ১৫০-২০০ জন পুরুষ ও নারী শ্রমিক অবৈধভাবে পাহাড় কেটে পাহাড়ি বারোমাসি ছড়ার মুখে বাঁধ নির্মাণ করে পশ্চিম দিকে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেয়। এসময় বন কর্মকর্তারা ঘটনার স্থিরচিত্র তুলে নেন এবং শ্রমিকদের কাছে জানতে চান কার নির্দেশে তারা বাঁধ নির্মাণের কাজ করছেন।

এসময় উত্তরে শ্রমিকরা জানান যে, তারা জিপিএইচ ইস্পাত কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাজ করছে। পরক্ষণে জিপিএইচ ইস্পাত কর্তৃপক্ষের কারা কাজের নির্দেশ দিয়েছেন বা তাদের নাম কী জানতে চাইলে অজ্ঞাত পরিচয়ে দুইজন লোক ধারালো দা হাতে নিয়ে এসে সরকারি কাজে বাধা প্রদান করেন এবং বন বিভাগের লোকজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি প্রদান করে। এমন সময় জনবল কম হওয়ায় এবং অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বন বিভাগের লোকেরা স্থান ত্যাগ করেন এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।

পরদিন ৪ এপ্রিল একই সময়ে রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে শ্রমিকরা বাঁধ নির্মাণের কাজ ফেলে সকল যন্ত্রপাতিসহ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে গভীর জঙ্গলে আত্মগোপন করেন। পরে শ্রমিকদের বহু খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। ওইদিন বন কর্মকর্তারা ঘটনার স্থিরচিত্র গ্রহণ ও ১০টি খালি বস্তা আলামত হিসেবে উদ্ধার করেন। তারা ছড়ায় নির্মিত বাঁধ পরিমাপ করেন ও কত ঘনফুট পাহাড় কাটা ও মাটি অপসারণ করা হয়েছে এবং ছড়ায় নির্মিত বাঁধের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ নির্ণয় করে কর্মস্থলে ফিরে আসেন।

এ ঘটনার পর কারা পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করে পাহাড়ি ছড়ায় পানিপ্রবাহ বন্ধ ও বাঁধ নির্মাণ করছিল তা অনুসন্ধান শুরু করেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। তদন্তে জিপিএইচ ইস্পাতের দুই মালিক যথাক্রমে আলমাস শিমুল ও জাহাঙ্গীর আলমের নাম উঠে আসে। তাদের দুজনকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ৭ এপ্রিল আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয় উত্তর বন বিভাগের পক্ষ থেকে। অভিযোগ দায়ের করার পরও আসামিরা শ্রমিক দিয়ে পাহাড় কেটে ছড়ায় বাঁধ নির্মাণ অব্যাহত রেখেছিল।

এজাহার সূত্রে আরও বলছে, অভিযোগের অধিকতর তদন্তে জানা যায়, ৭ এপ্রিল দাখিলকৃত অভিযোগে ১ নম্বর আসামি আলমাস শিমুল ও ২ নম্বর আসামি জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। ঘটনার দিন অজ্ঞাত পরিচয়ে বন কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকিদাতা দুইজনের পরিচয় মেলায় ৮ এপ্রিল আদালতে সংশোধিত অভিযোগ দাখিল করে বন বিভাগ।

এতে পূর্বের অভিযোগের ১ নম্বর আসামীকে ৩ নম্বর আসামি এবং ২ নম্বর আসামিকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি প্রদান এবং সরকারি কাজে বাধাদানকারী লিটন ও আলমগীরকে যথাক্রমে ১ ও ২ নম্বর আসামি করা হয়। আরও অধিকতর তদন্তে জানা যায় যে, ৭ এপ্রিলের ২ নম্বর ও ৮ এপ্রিলের সংশোধিত অভিযোগের ৪ নম্বর আসামীর (জাহাঙ্গীর) ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। ফলে উক্ত আসামিকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, পাহাড়কাটা ও পাহাড়ি ছড়ায় প্রবহমান পানি চলাচল বন্ধ করে বাঁধ নির্মাণ করায় একদিকে প্রাকৃতিক জলধারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে এবং একটি দিকে পানির স্তর বেড়ে বিস্তীর্ণ নিচু জমির বন ও বনভূমি পানির নিচে তলিয়ে যাবে। অন্যদিকে পানির অভাবে খরা দেখা দিয়ে পাহাড়ি গাছপালার ব্যাপক ক্ষতিসাধন হবে। ফলে ভূমির রূপবৈচিত্র্য পরিবর্তন হয়ে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। সংরক্ষিত বনভূমিতে অনুপ্রবেশ করে পরিবেশবিধ্বংসী কর্মকাণ্ড চালানোয় ১৯২৭ সনের বন আইনের ৩৩ এর ১ (গ) ধারায় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে মর্মে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

এদিকে শিল্প গ্রুপের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ এ মামলাকে বন বিভাগে যুগান্তকারী মামলা বলে অভিহিত করছে বন বিভাগ সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে জিপিএইচ ইস্পাতের পরিবেশবিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আদালতে মামলা দায়ের বন বিভাগের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কেননা পরিবেশ ধ্বংস করলেও পরিবেশ অধিদপ্তর জিপিএইচ ইস্পাতের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের দূরে থাক এনফোর্সমেন্টও গঠন করেনি।

এসবকে ঘিরে আলোচিত এ মামলার প্রসঙ্গে নানা কথাও শোনা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা আপস করিনি। বন ও পরিবেশের ক্ষতি যারা করেছে তাদেরকে কোনো ছাড় নয়। আমাদের সৎ ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তারা শক্ত মনোবল নিয়ে এ মামলায় লড়বেন। সত্যের জয় হবেই ইনশাআল্লাহ। আরেক কর্মকর্তা বলেন, পরিবেশের ক্ষতি করলেও পরিবেশ অধিদপ্তর একেবারে চুপচাপ। অথচ বিষয়টি পরিবেশের সাথে সংশ্লিষ্ট। আমরা ধারণা করছি পরিবেশ অধিদপ্তরকে ম্যানেজ করা হয়েছে। নতুবা এতো বড় সংস্থা চুপ থাকার কথা নয়।

তবে এ মামলায় একদিনের ব্যবধানে আদালতে দাখিলকৃত অভিযোগ সংশোধন নিয়ে ওইসময় নানা প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ আছে, জিপিএইচ ইস্পাত কর্তৃপক্ষের চাপে আসামির নাম সংশোধন এনেছে মামলার বাদী বিভাষ কুমার মালাকার। ঘটনার প্রথম তদন্তে গহীন পাহাড়ে পাহাড়ের মাটি কেটে বারোমাসি ছড়ায় বাঁধ নির্মাণ করে পানিপ্রবাহ বন্ধের জন্য জিপিএইচ ইস্পাতের মালিক আলমাস শিমুলকে ১ নম্বর ও আরেক মালিক জাহাঙ্গীর আলমকে ২ নম্বর আসামি করা হয়।

অথচ একদিন পরই সেই অভিযোগ সংশোধন করে ১ নম্বর আসামিকে ৩ আসামি করা হয়েছে এবং ২ নম্বর আসামিকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। একইসাথে মামলার চার্জশিট থেকে ৪ নম্বর আসামি জাহাঙ্গীর আলমকে সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। যদিও সরকারি দপ্তরের দায়ের করা মামলায় এমন ঘটনা নজিরবিহীন।

মামলার বাদী বিভাষ কুমার মালাকার বলেন, আমরা ঘটনাটি তিন স্তরে তদন্ত করেছি। কুমিরা বিট অফিস, রেঞ্জ অফিসার ও বিভাগীয় বনসংরক্ষক অভিযোগটি তদন্ত করেছেন। এরপর নিয়ম অনুযায়ী আমরা তাৎক্ষণিক চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছি। জিপিএইচ ইস্পাত পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের যে ক্ষতিসাধন করেছে তা অপূরণীয়। আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।

আদালতে মামলাটি লড়ছেন অ্যাডভোকেট রবি শঙ্কর চৌধুরী। চট্টগ্রাম বন আদালতের অন্যতম এ আইনজীবী বলেন, পরিবেশ ধ্বংস করে পাহাড়ি ছড়ায় বাঁধ নির্মাণ করেছে জিপিএইচ। আবার পাহাড়ও কাটছে। পানির অভাবে অনেকগুলো জলজপ্রাণির মৃত্যু হয়েছে, গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছড়ার পানির উপর স্থানীয় উপজাতিরা নির্ভর করত। সেটিও বন্ধ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে সেখানকার পরিবেশ, প্রকৃতিকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। বাঁধ নির্মাণের ফলে জিপিএইচ ইস্পাত কর্তৃপক্ষ লাভবান হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ মামলায় আলমাস শিমুলকে হুকুমদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আদালতে জিপিএইচ ইস্পাত কর্তৃপক্ষের যুক্তি স্থান পায়নি। তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন হয়ে গেছে। তারা চার্জের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করলেও আদালত সেটি বাতিল করেছেন। এখন মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই। আমরা আমাদের সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। যেন পরিবেশ ধ্বংসকারীরা শাস্তি পান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিপিএইচ ইস্পাতের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমাস শিমুল বলেন, উত্তর বন বিভাগ মামলা করেছে ঠিক, তবে বিষয়টি আপনি কেন জানতে চাইবেন, মামলাটি আদালতে চলমান, আমি যা জবাব দিব আদালতে দিব, আপনাকে কেন জবাব দিব বলে লাইন কেটে দেন।

সূত্র—এপি/এসএস/ফোরকান

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page