তৃতীয় দফা বদলিতেও চেয়ার ছাড়তে চান না সচিব!


নিজস্ব প্রতিবেদক ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ৩:১০ : অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আব্দুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়।

তবে মঙ্গলবারও সিটি করপোরেশনের সচিবের দায়িত্ব ছাড়েননি তিনি। এর আগে দুই দফা বদলি করা হলেও তিনি পদ ছাড়েননি। বদলি ঠেকিয়ে সিটি করপোরেশনের সচিব পদে বহাল ছিলেন তিনি। দায়িত্বপালনকালে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে।

২০২৩ সালের ১৭ জুলাই খালেদ মাহমুদকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান হিসেবে বদলি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একইদিন সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী শহিদুল ইসলামকে সিটি করপোরেশনের সচিব পদে পদায়ন করা হয়। কিন্তু তিনি যোগদান করলেও খালেদ মাহমুদ দায়িত্ব না ছাড়ায় চেয়ারে বসতে পারেননি। ২০২৩ সালের ৭ আগস্ট খালেদ মাহমুদের বদলি আদেশটি বাতিল করা হয়। পরে কাজী শহিদুল ইসলামকে চট্টগ্রাম ওয়াসায় বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক হিসেবে পদায়ন করা হয়।

এর আগে ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপ পরিচালক (স্থানীয় সরকার) হিসেবে বদলি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু যথারীতি পদ ছাড়েননি। তদবির করে বদলি ঠেকিয়ে সিটি করপোরেশনের সচিব পদে বহাল থাকেন।

২০২১ সালের ৯ মার্চ বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের সচিব পদ থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব পদে তাকে পদায়ন করা হয়। এরপর থেকে তিনি দায়িত্বপালন করে আসছেন। তার দায়িত্বপালনের সময়ে বিজ্ঞপ্তি ছাড়া শ্রমিক নিয়োগ এবং অবসরের যাওয়ার আগমুহূর্তে বিধি ভঙ্গ করে এক প্রকৌশলীকে পদোন্নতি দেওয়ার ঘটনা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে সিটি করপোরেশনে।

বিধিবহির্ভূতভাবে পদোন্নতি দেওয়ায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। এবারও বদলি ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ বলেন, বদলির আদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। বদলি আদেশ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সিটি করপোরেশনে আসেনি। আসলে সিটি করপোরেশন অবমুক্ত করলে বদলিকৃত পদে যোগদান করা হবে।

সচিবকে অবমুক্ত করা হয়েছে কিনা জানতে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামকে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। কয়েকজন কর্মকর্তা বদলি ঠেকাতে খালেদ মাহমুদের তদবিরের চেষ্টার কথা জানালেও নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।

এসএস/ফোরকান

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page