চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এরবিতার্কিকদের সংগঠন চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটির (চুয়েটডিএস) আয়োজনে দুই দিনব্যাপী ‘জাতীয় বিতর্কউৎসব-২০১৯’ সম্পন্ন হয়েছে। ‘গর্জে উঠুক শঙ্খচূড়ের বিষ,ফেনা মুখে আহত তিতাস’ এই স্লোগানে গতকাল ২৭ জুলাই(শনিবার), ২০১৯ খ্রি. বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম ওমাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেমিনার কক্ষে এ উৎসবেরসমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদেরডিন অধ্যাপক রনজিৎ কুমার সূত্রধর। বিশেষ অতিথি ছিলেনবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নবনিযুক্ত উপ-ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও মেকাট্রনিক্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংবিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব হুমায়ুন কবির এবং চুয়েটডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর ও মানবিক বিভাগের প্রভাষকজনাবা নাহিদা সুলতানা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানেরআহবায়ক মো. রাজু আহমাদ। এবারের বিতর্ক উৎসবে দেশের ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৭২ জনবিতার্কিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। উৎসবের প্রথদিন অনুষ্ঠিত হয় চার রাউন্ডের প্রাথমিক পর্ব। এতে প্রাথমিক পর্ব শেষে৮টি বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি কোয়াটার ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়।প্রাথমিক পর্বের সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হয় চুয়েটডিবেটিং সোসাইটির সদস্য রকিবুল হোসেন শান্ত। ফাইনালেসরকারি দল হিসেবে ছিল জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিডিবেটিং অর্গানাইজেশন (জুডো) এবং বিরোধী দল হিসেবেছিল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইল ডিবেটিং ক্লাব(বুটেক্স ডিসি)।
ফাইনালের বিষয় ছিল- ‘এখনই সময় আহততিতাসের গর্জে উঠার’। বিষয়ের পক্ষে বিতর্ক করে বিজয়ী হয়জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি। ফাইনালের শ্রেষ্ঠ বিতার্কিকহিসেবে নির্বাচিত হয় জুডো’র তাজরিন তন্বী। উল্লেখ্য,বিতর্ক উৎসবের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে আরামিট সিমেন্ট লিমিটেডএবং মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলেন দৈনিক প্রথম আলো।