ঘুষ লেনদেন ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম কাস্টমসের ২৪ কর্মকর্তা, কর্মচারী ও আমদানিকারকের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলাগুলো করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন।
আসামিরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, মো. সফিউল আলম, শফিউল আলম, হুমায়ুর কবির, মো. নিজামুল হক, মেসার্স গ্যা্ি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর মো. কাসিফ ফোরকান, এমআর কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী মো. হারুন শাহ।
এছাড়া বাকি কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন- মো. আইনুল হক, মো. সাহিদুর রহমান, মো. সাইফুল ইসলাম, ফাহাদ আবেদীন সোহান, জ্যোতির্ময় সাহা, মো. আবুল হাসনাত সোহাগ, মো. মমিনুল ইসলাম, মির্জা মো. আহসানুজ্জামান, এমএ আলীম, মো. মুসা ভূঁইয়া, মইনুল আলম চৌধুরী, হাজী ফোরকান আহমেদ, মো. সাইফুর রহমান, মো. নুরুল আলম, মো. জহিরুল ইসলাম ও মো. রুবেল আহমেদ।
দুদকের চট্টগ্রাম-১ এর উপপরিচালক মো. লুৎফুল কবির চন্দন বলেন, ২০১০-১১ সালে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আনা পণ্য প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে পণ্য খালাস করে মোট দুই কোটি ৬৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা কাস্টমস ডিউটি ফাঁকি দেয়। আসামিদের মধ্যে কাস্টমসের বেশ কয়েকজন সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তাও রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের স্বার্থে দুদক মামলা দায়ের করেছে।
এর আগে এমন ১৫ কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। আদালতের মাধ্যমে এরই মধ্যে নয়জনকে পাঠানো হয়েছে কারাগারেও।
সর্বশেষ কাস্টমসের স্টাফ শাখায় দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রশাসন) নাজিম উদ্দিনের অফিসকক্ষের আলমিরায় তল্লাশি করে ঘুষের নগদ ছয় লাখ টাকা পায় দুদক। একই সময় রাজস্ব কর্মকর্তা আমজাদ হাজারীর স্ত্রীর নামে তিন কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ থাকায় স্ত্রীসহ তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করে দুদক।