চট্টগ্রামে ১৭ হাসপাতাল-ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা


নিজস্ব প্রতিবেদক ৩০ আগস্ট, ২০২২ ১:১৬ : পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার ১৭টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সোমবার (২৯ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সূত্রে জানা গেছে, নগরের দুটি হাসপাতাল ছাড়াও ১৪ উপজেলার ১৫টি হাসপাতাল-ডায়গনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে ফটিকছড়ি, বোয়ালখালী, আনোয়ারা উপজেলায় ১টি করে, লোহাগাড়ায় ২টি, রাঙ্গুনিয়ায় ৩টি, বাঁশখালীতে ৭টি হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়।

এদিকে বাঁশখালীতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা নামসর্বস্ব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) পরিচালক ডা. মো. বেলাল হোসেন স্বাক্ষরিত লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহের সুপারভিশন ও মনিটরিং বিষয়ে জরুরি নির্দেশনায় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান (হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাব বন্ধের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

২৯ আগস্ট থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার সকালে চাম্বল বাজারে ন্যাশনাল হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেড, জলদীর মাতৃসদন হাসপাতাল, উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে জলদীর ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মিনি ল্যাব, মা-মনি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মডার্ণ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে এসব প্রতিষ্ঠানে লাইসেন্স না থাকায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

বাঁশখালী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. শফিউর রহমান মজুমদার বলেন, বাঁশখালী উপজেলায় যে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল, প্যাথলজি সেন্টার, ক্লিনিক লাইসেন্স নেই সবগুলো প্রতিষ্ঠান আইনের আওতায় আনা হবে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মালিকদেরকে অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিয়ে আসার জন্য পূর্বেই তিন বার অভিযান করে সংশোধনের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। এবার বন্ধ করতে গিয়ে অনেকে হুমকি ধামকিও দিচ্ছে।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশেই বেসরকারিভাবে গড়ে উঠা লাইসেন্সবিহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে অভিযান শুরু হয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতেই অভিযান আরও দুই দিন চলবে।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, উপজেলায় যে সব হাসপাতালে অনিয়ম পাওয়া গেছে তা তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তালিকা পাঠানো হয়েছে। অধিদপ্তর যে সিদ্ধান্ত দেবে তাই বাস্তবায়ন করা হবে।

সকালের-সময়/ফোরকান

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ