চট্টগ্রামে সড়কে গাড়ি রাখলে ঘণ্টায় দিতে হবে ২০০ টাকা


নিজস্ব প্রতিবেদক ৪ মার্চ, ২০২৪ ১২:৪০ : অপরাহ্ণ

যানজট কমাতে নগরের সড়কে পে-পার্কিং (টাকার বিনিয়ময়ে গাড়ি রাখা) ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এ জন্য বি-ট্র্যাক সলিউশন নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। রোববার সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই হয়।

সিটি করপোরেশন বলছে, যানজট কমাতে নগরের আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় আগামী মে মাসে পে-পার্কিং চালু করা হবে। তবে নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, এতে যানজট আরও বাড়াবে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, যানজট কমাতে নগরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পে-পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। দীর্ঘদিন নগরের অনেক স্থানে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এটি নিরসনে নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে নিয়ে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে আগ্রাবাদ এলাকায় পে-পার্কিংয়ের পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে পর্যায়ক্রমে অন্য এলাকাতেও পে-পার্কিং প্রকল্প নেওয়া হবে।

সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, আগ্রাবাদের বাণিজ্যিক এলাকায় বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হবে। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩০০টি গাড়ি রাখার সুযোগ থাকবে। তিন ও চার চাকা গাড়িগুলো রাখতে ঘণ্টায় ৩০ টাকা দিতে হবে। আর সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা গাড়ি রাখতে চাইলে দিতে হবে ২০০ টাকা। এ ছাড়া মোটরসাইকেল রাখতে ঘণ্টায় দিতে হবে ১৫ টাকা। সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দিতে হবে ১০০ টাকা।

চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ৭ মার্চ থেকে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পে-পার্কিং চালুর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করবে বি-ট্র্যাক সলিউশন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে পে-পার্কিং চালু করতে পারবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সহসভাপতি প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া বলেন, নগরের সড়কগুলো এমনিতে ছোট। দুই পাশে গাড়ি রাখলে সড়কে দুটি গাড়ি যাওয়ার জায়গা কমে যাবে। এতে যানজট কমার চেয়ে বাড়বে। পে-পার্কিং করতে চাইলে সড়কের বাইরে প্রয়োজনে জায়গা ভাড়া নিয়ে মাটির নিচে মেকানিক্যাল পার্কিং করতে পারে।

এ প্রসঙ্গে মেয়র রেজাউল করিম বলেন, সড়কের পাশে পরিত্যক্ত যে জায়গা রয়েছে, আমরা এগুলো বেছে নিয়েছি। আমরা তো সড়কের ওপর পার্কিং করতে যাচ্ছি না। এর ফলে যানজট হওয়ার আশঙ্কা আছে বলে মনে হয় না।

চুক্তিতে সিটি করপোরেশনের পক্ষে সই করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং বি-ট্র্যাক সলিউশনের পক্ষে সই করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম তানভীর সিদ্দিকী।

এসএস/এমএফ

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ