চট্টগ্রামে পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং


নিউজ ডেস্ক ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ ৮:৫৩ : অপরাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়ি এলাকার বসতি থেকে লোকজনকে সরে যেতে মাইকিং করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে আকবর শাহ এক, দুই ও তিন নম্বর ঝিল এবং বিজয়নগর এলাকায় মাইকিং করে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়।

নগরীর কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. উমর ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে চট্টগ্রামে ৬নং বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়েরর কারণে বর্ষণে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

নগরীর পাহাড়ি এলাকাগুলোতে অসংখ্য মানুষ ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করে। শুক্রবার সকাল থেকে পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীদের সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। লোকজনকে নিরাপদে আশপাশের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চলে যাওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরের ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা কিংবা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এসব এলাকার অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এসএস/এমএফ

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page