চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলায় একটি বাড়িতে ডাকাতির পর নারীদের ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই। সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় চার্জশিট জমা দেন।
৬ জন পেশাদার ডাকাত ওই বাড়িতে প্রবেশ করে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। অভিযুক্ত ৬ আসামি হলো- আবু সামা, মিজান মাতুব্বর, জহিরুল ইসলাম হাওলাদার ও তার বড় ভাই মইদুল ইসলাম হাওলাদার, ইলিয়াছ এবং মো. আব্দুল হান্নান ওরফে হান্নান মেম্বার। এদের মধ্যে ইলিয়াছ এখনও পলাতক আছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, কর্ণফুলী উপজেলায় একটি বাড়িতে ডাকাতির পর বাড়িতে থাকা নারীদের ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তদন্তে ঘটনার সঙ্গে ৬ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। কর্ণফুলী উপজেলায় যে বাড়িতে তারা ঢুকেছিল সেখানেও তাদের উদ্দেশ্য ছিল ডাকাতি করা। কিন্তু ডাকাতির পাশাপাশি তারা ধর্ষণের মতো অপকর্মও করে বসে।
সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, অভিযুক্ত ৬ আসামির মধ্যে ৫ জন কারাগারে রয়েছে। একজন পলাতক রয়েছে। ঘটনার পর কর্ণফুলী থানা পুলিশ এ মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল। ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া না যাওয়ায় তাদের তিনজনকে চার্জশিট থেকে বাদ দিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরে ওই বাড়িতে থাকা নারীদের ধর্ষণ করে ডাকাতরা।