ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে লোকজন বাড়ি ফেরার কারণে ইতোমধ্যে ফাঁকা হতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম নগরী। এই সুযোগে নগরীতে চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। তবে যে কোন অপরাধ প্রতিরোধ ও নিরাপত্তার কড়াকড়িতে সামান্যতম ছাড় দিতেও রাজি নয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
সিএমপির তথ্য মতে, চট্টগ্রামে সর্বাধিক ৭৪টি আবাসিক এলাকা আছে বায়েজিদ বোস্তামি থানা এলাকায়। এছাড়া আকবর শাহ থানায় ২৩টি, খুলশী থানায় ২২টি, পাঁচলাইশে ১৭টি, ডবলমুরিংয়ে ১৫টি, চকবাজারে আটটি, পতেঙ্গা, চান্দগাঁও ও পাহাড়তলীতে সাতটি করে, হালিশহরে পাঁচটি, বাকলিয়া, কর্ণফুলী, ইপিজেড ও সদরঘাট থানায় চারটি, বন্দর থানায় তিনটি ও কোতোয়ালী থানায় একটি আবাসিক এলাকা রয়েছে।
এসব আবাসিক এলাকার বিভিন্ন কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করে নির্ধারণ করা হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঈদের ছুটিতে নগরীর নিরাপত্তা জোরদারে থানা পুলিশের বাইরে অতিরিক্ত আরও তিন থেকে চারশ পুলিশ ফোর্স মোতায়েন থাকবে। এছাড়া নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নজরদারির পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ–কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা জানান, ঈদের ছুটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা তারা করছেন না। তিনি বলেন, বড় কোনো অপরাধী নগরীতে ঢুকলেই আমাদের কাছে খবর চলে আসছে। তাই নগরী শান্ত থাকবে। ঈদের ছুটির কারণে নগরী ফাঁকা পেয়ে অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, ছিনতাইকারীরা যাতে বেপরোয়া হয়ে উঠতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।
জানা যায়, নগরীর ৩৪টি বড় ঈদ জামাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। অন্যান্য ঈদ জামাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে এক ভাগ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলোতে মোতায়েন করা হবে।
অপর দুই ভাগের মধ্যে এক ভাগ ঈদ জামাতের স্থানে সার্বক্ষণিক দায়িত্বে এবং অপর ভাগ পুরো নগরে বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে টহল দেবে। এছাড়া বিভিন্ন মার্কেট এলাকায় মোতায়েন করা পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন এলাকায় ঈদ জামাতে মোতায়েন করা হবে।
নগরীর নিরাপত্তা প্রসঙ্গে সিএমপির সহকারী কমিশনার একেএম মহিউদ্দিন সেলিম বলেন, নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ঈদ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নগরীর সবগুলো আবাসিক এলাকায় পুলিশের টহল আরও জোরদার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে স্থানীয় থানা পুলিশকে।
তিনি আরও বলেন, ঈদের জামাতসহ ঈদের পর পর্যন্ত বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশনে মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ। পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের উদ্যোগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রাখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এসএস