অপহরণের পর শিশুকে মাথায় আঘাত করে হত্যা–গ্রেফতার ২


নিউজ ডেস্ক  ৫ মে, ২০২৩ ১২:৫৮ : পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীতে নিখোঁজের পাঁচদিন পর এক শিশুর লাশ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আর্থিক সংকট কাটাতে প্রতিবেশি এক যুবক তার বন্ধুকে নিয়ে মুক্তিপণের আশায় শিশুটিকে অপহরণ করেছিল। মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় পুলিশ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে।

বুধবার (৩ মে) রাতে নগরীর চান্দগাঁও থানার পশ্চিম মোহরার স্থানীয় গোলাপের দোকান মাজার গেইট এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত শফিউল ইসলাম রহিম (১১) ওই এলাকার সেলিম উদ্দিনের ছেলে। সে পশ্চিম মোহরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

গ্রেফতার দু’জন হলেন- আজম খান (৩২) ও মজিবদৌলা হৃদয় (২৮)। এদের মধ্যে আজমের বাসা পশ্চিম মোহরায়। আজমের বন্ধু হৃদয়ের বাসা মোহরার পার্শ্ববর্তী ধুপপুল এলাকায়।

চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খাইরুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, পটক কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৯ এপ্রিল রহিমকে নিয়ে যায় তাদের প্রতিবেশি আজম। এরপর রহিমকে নির্মাণাধীন একটি ভবনে নিয়ে জিম্মি করে বন্ধু হৃদয়কে দিয়ে তার বাবাকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ওইদিনই রহিমের বাবা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ২৯ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আজম শিশুটিকে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে। এর ভিত্তিতে আমরা আজমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নির্মাণাধীন ভবনে একটি গর্তের ভেতর থেকে লাশ উদ্ধার করি। এরপর হালিশহরে হৃদয়ের অবস্থান শনাক্ত করে তাকেও আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওসি খায়রুল আরও জানান, আজমের সঙ্গে সম্প্রতি তার স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়। এরপর আজম মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়েছে। সেই সংকট কাটাতে বন্ধু হৃদয়কে নিয়ে সে শিশু রহিমকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে।

কিন্তু মুক্তিপণ না পেয়ে রহিমকে নির্মাণাধীন ওই ভবনে নিয়ে কাঠের বাটাম দিয়ে মাথায় ও মুখে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর লাশ গুম করার উদ্দেশে সেখানে একটি গর্ত করে মরদেহ ইট ও বালি চাপা দেয়।

এসএস

 

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page