খেলাধুলা ডেস্ক : ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলীর বিধ্বংসী ইনিংসে কুপোকাত খুলনা। শুক্রবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) এ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে আবার বল হাতেও জ্বলে ওঠেছেন এ অলরাউন্ডার।
খুলনা টাইগার্সকে ১২৩ রানে অলআউট করে ৬৫ রানের দুর্দান্ত জয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করে ভিক্টোরিয়ান্স। আর এবারের আসরে ৯ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে।
এদিকে প্লে-অফের টিকিটের জন্য কুমিল্লার বিপক্ষে জয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল খুলনা টাইগার্সের। তবে এই ম্যাচ হারলেও এখনই প্লে-অফে খেলার আশা ফুরিয়ে যাচ্ছে না তাদের। এর জন্য যেতে হবে নানান সমীকরণের মধ্যে দিয়ে।
শুক্রবার দিনের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান জড়ো করে কুমিল্লা। একটি চার ও নয়টি ছক্কায় ৩৫ বলে ৭৫ রানের দানবীয় ইনিংস খেলেন মঈন আলী।
তার আগে ১৭ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে কুমিল্লাকে ভালো শুরু এনে দেন লিটন দাস। ফাফ ডু প্লেসি ৩৮ রান করেন ৩৬ বলের মোকাবেলায়।
মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৬ বলে ১২ ও আবু হায়দার রনি ২ বলে ১ রান করে অপরাজিত থাকেন। খুলনার পক্ষে থিসারা পেরেরা শিকার করেন জোড়া উইকেট।
কুমিল্লার দেওয়া ১৮৯ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই টপ অর্ডারের বিদায়ে চাপে পড়ে খুলনা। প্রথম ওভার থেকে ১৭ রান নেওয়া আন্দ্রে ফ্লেচার তখন নন স্ট্রাইকে।
আর দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে আসা মোস্তাফিজুর রহমানকে খেলতে গিয়ে ইমরুল কায়েসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন রণি তালুকদার। দলীয় ১৭ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে খুলনার।
পরের বলেই ফুল লেংথের বল খেলতে না পেরে পায়ে লাগান ফ্লেচার। এতেই দুই বলে দুই ওপেনারকে হারায় খুলনা। দুটি উইকেট ওঠে মোস্তাফিজের ঝুলিতে।
তৃতীয় উইকেটে ইয়াসির আলী রাব্বিকে সঙ্গে নিয়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালান সৌম্য সরকার। এই জুটি থেকে আসে ২৭ রান। তবে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত মঈন আলী এবার বল হাতে ঘূর্ণি যাদু দেখালেন।
তার বলে ফাফ ডু প্লেসিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি। আউট হওয়ার আগে তিনি ১৯ বলে ১৮ রান করেন। পরের ওভারে বল করতে এসে আবু হায়দার রনি তুলে নেন মুশফিকুর রহিমকে। ৪ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই মুশফিক ফেরেন দলীয় ৪৪ রানে।
এরপর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি কেউই। বলা চলে সৌম্য সরকারের ২৫ বলে ২২, ইয়াসির আলীর ১৯ বলে ১৮ ও থিসারা পেরেরার ২৩ বলে ২৬ ছাড়া কেউই বলার মত রান করতে পারেননি।
শেষপর্যন্ত ১৯.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৩ রান। কুমিল্লার পক্ষে আবু হায়দার রনি তিনটি এবং নাহিদুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান ও মঈন আলী দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
এস এস/