খেলাধুলা ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন মুশফিকুর রহিম। ঘরের মাঠেই হেরে গেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
৬ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে চট্টগ্রামকে হারিয়ে যেন নিজেদের প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রতিশোধ নিলো খুলনা টাইগার্স। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দেয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় খুলনা।
বিপিএল প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা সৌম্য সরকার ৩ বলে ১ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে ক্যাচ আউট হন। দ্বিতীয় উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়েন আন্দ্রে ফ্লেচার ও রনি তালুকদার। ধীরগতিতে ১৮ বলে ১৭ রান করেন রনি। তাকে শিকার করেন নাসুম আহমেদ।
৪৭ বলে ৫৮ রান করে বিদায় নেন ক্যারিবিয়ান হার্ড-হিটার ফ্লেচার। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ২টি ছক্কা। এরপর সেকুগে প্রসন্ন ও মুশফিকুর রহিম দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।
স্কোর লেভেল করে ক্যাচ আউট হন প্রসন্ন। এক চার ও দুই ছক্কায় তিনি করেন ১৫ বলে ২৩ রান। খুলনার পক্ষে জয়সূচক রানটি করেন মুশফিক। ৩০ বলে ৪৪ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে দলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক।
মুশফিকের রানে ফেরার ইনিংসে ছিল চারটি চার ও একটি ছক্কা। চট্টগ্রামের পক্ষে দুইটি উইকেট পান অধিনায়ক মিরাজ। ১ উইকেট করে নেন শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
দুপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দ্বিতীয় ওভারেই কেনার লুইসকে হারিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। মাত্র ১ রান করে আউট হন তিনি।
এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুব ও উইল জ্যাকস দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়ে দলকে কিছুটা সামাল দেন। দলীয় ৬০ রানের মাথায় উইল জ্যাকস ২৮ (২৩) রান করে থিসারা পেরেরার বলে বোল্ড হয়ে ফেরার পর ৪ রান করে ক্যাচ দেন সাব্বির রহমান।
অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ ৬ রান করে ফেরেন শেখ মেহেদীর বলে ক্যাচ দিয়ে। সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখতে দেখতে সেই দলে নাম লেখান আফিফও।
দলের বিপর্যয়ে আফিফ হোসেন একপ্রান্ত আগলে রাখেন। ৩৭ বলে ৪৪ রান করেন আফিফ। বিপিএলের চলতি আসরে এটিই তার সর্বোচ্চ রান। আফিফের ব্যাট থেকে আসে ৩টি চার ও ২টি ছক্কা।
ফরহাদ রেজার বলে শেখ মেহেদীর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন আফিফ। মাত্র ৯৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা চট্টগ্রামের হয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে নাঈম ইসলাম খেলেন ১৯ বলে অপরাজিত ২৫ রানের ইনিংস।
নাঈম দুই চার ও এক ছক্কায় করেন ১৯ বলে অপরাজিত ২৫ রান। শরিফুল একটি করে চার ও ছক্কায় ৬ বলে ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
খুলনার পক্ষে পেরেরা চার ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচ করে নেন তিনটি উইকেট। কামরুল ইসলাম রাব্বি, নাবিল সামাদ, শেখ মেহেদী হাসান, ফরহাদ রেজা ও সেকুগে প্রসন্ন একটি করে উইকেট পান।
এস এস/