সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে ‘শিরশ্ছেদ’ করার অডিও টেপ প্রকাশ


১৮ অক্টোবর, ২০১৮ ৯:৪১ : অপরাহ্ণ

সকালেরসময় বিশ্ব ডেস্ক:: সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি দূতাবাসে নির্যাতনের পর শিরশ্ছেদ করা হয়। ঘটনার অডিও রেকর্ডিং শোনার পর তুরস্কেও সরকার সমর্থক দৈনিক ইয়েনি সাফাক গতকাল বুধবার এই খবর প্রকাশ করেছে। অডিও টেপের একাধিক রেকর্ডিংকে উদ্ধৃত করে দৈনিক ইয়েনি সাফাক বলেছে, হত্যাকারীরা জিজ্ঞাসাবাদের সময় খাসোগির হাতের আঙ্গুল কেটে নেয়। তারপর ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক খাসোগিকে হত্যা করা হয়।

তুর্কি বান্ধবীর সাথে বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র আনতে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলস্থ তুরুষ্কের দূতাবাসে প্রবেশ করার পর খাসোগি নিখোঁজ হন। তুরস্ক পুলিশ ধারণা করছে যে, সৌদি আরবের ১৫ জনের একটি বিশেষ দল কর্তৃক খাসোগি নিহত হন। তবে সৌদি আরব বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করছে।
খাসোগির নিহতের ঘটনা তদন্তের ১৫ সদস্যবিশিষ্ট টিমের একজন হলো সৌদি ফরেনসিক বিভাগের লেফট্যানেন্ট কর্ণেল সালাহ মুহাম্মেদ বলে পত্রিকাটি জানায়।

ইতিপূর্বে ওয়াশিংটন পোষ্ট নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্র ও তুর্কি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতিতে বলেছিলো, অডিও ও ভিডিও রেকডিং প্রমাণ করে যে দূতাবাসের ভিতর খাসোগিকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় এবং পরে তার দেহ খন্ড-খন্ড করে কেটে ফেলা হয়।
পত্রিকাটি বলেছে, খাসোগির নির্যাতন, জিজ্ঞাসাবাদ ও হত্যার ঘটনা তার হাতের এ্যাপেল ঘড়িতে রেকডিং হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঘড়িতে তাকে (খাসোগির) হত্যার পদ্ধতি রের্কড হয়ে থাকতে পারে।

পত্রিকাটি জানায়, অডিও রেকর্ডে প্রকাশ পায় যে, ইস্তাম্বুলস্থ দূতাবাসে নিয়োজিত সৌদি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মেদ আল-অুাইবি নির্যাতনের সময়ে নির্যাতনকারীদের বলেন, ‘দূতাবাসের বাইরে নিয়ে যেয়ে ঘটনাটি ঘটাও। তা না হলে তোমরা আমাকে বিপদে ফেলবে। তখন একজন নির্যাতনকারী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, তুমি সৌদিতে যাবার পর জীবিত থাকতে চাইলে চুপ থাকো। তবে পত্রিকাটি কিভাবে অডিও টেপটি হাতে পেলো কিনা তা জানায় নি। তবে মিডিল ইষ্ট আই নামক একটি ওয়েব-সাইট তুর্কি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ‘রিয়াদ থেকে বিশেষ টিম খাসোগিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসেনি, তাকে হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিলো।

সূত্রটি ইংলিশ ভাষার ওয়েব-সাইটকে জানায়, ‘বিশেষ টিমের একজন সদস্য টোবাইগ খাসোগিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার দেহ কাটতে থাকে। সাত মিনিটের মধ্যে খাসোগির মৃত্যু ঘটে। হত্যাকারী টোবাইগ হত্যার সময় গান শুনছিলো। তুর্কি আইন-শৃংখলা বাহিনী তার বাসভবন তল্লাশির আগে রাষ্ট্রদূত ওতাইবি গত মঙ্গলবার তুরস্ক ত্যাগ করে রিয়াদ চলে যায়।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ


You cannot copy content of this page