নতুন কৌশলের দিকে এগুচ্ছে ভারতে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। বিজেপি নেতৃত্বাধীন (ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয় তাহলে বিজেপিকে টেক্কা দিতে এবং প্রেসিডেন্টের জন্য জটিল পরিস্থিতি তৈরির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে কংগ্রেস। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে ২৭২টি আসন পেতে হবে।
নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের আগে একটি নতুন জোট গঠনের বিষয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা চলছে। বিশ্বস্ত মিত্রদের সঙ্গে এ নিয়ে বিতর্কও হচ্ছে। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী, আহমেদ প্যাটেল এবং জয়রাম রমেশ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্যবৃন্দ এবং শীর্ষ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি কৌশল প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
এর আগে গত বছর দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকে ফলাফল ঘোষণার আগে কংগ্রেস এবং জনতা দল-সেকুলার (জেডি-এস) জোটের ঘোষণা দিয়ে সাফল্য পেয়েছিলেন। সেই কৌশল থেকে শিক্ষা নিয়েই লোকসভা নির্বাচনের আগে এমন জোটের ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন জোটের ঘোষণা আসতে পারে কংগ্রেস ও তার মিত্রদের পক্ষ থেকে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বিজেপি যাতে নতুন অংশীদার খুঁজে না পায় সেজন্য এই ধরনের জোট গঠনের চিন্তা চলছে। এনডিএ যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নতুন নেতা নির্বাচিত করা হবে। কর্ণাটকে বেশি আসন পেয়েও কংগ্রেস এবং জেডি-এস এর জোট গড়ার কারণে সরকার গঠন করতে পারেনি বিজেপি। বিজেপি ১০৪টি আসন পেয়েছিল যা সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনের চেয়ে মাত্র ৯টি কম।
কর্ণাটকে গভর্নর হিসেবে বিজেপির ইয়েদুরাপ্পা শপথ নিয়েছিলেন। কিন্তু বিরোধীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট রাতেই শুনানি করে এবং আস্থা ভোটের আয়োজনের নির্দেশ দেয়। বিজেপি এমপিদের ম্যানেজ করারও কোনো সুযোগ পায়নি। দুই দলের এই খেলায় হেরে যায় বিজেপি।