আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরে একটি বাস দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮ জন।
বাসটি সুধনোতি জেলা থেকে রাওয়ালপিন্ডি যাচ্ছিল। বুধবার (৩ নভেম্বর) যাত্রীবাহী ওই বাসটি কাশ্মীরের সুধনতি জেলায় সড়ক থেকে ৫শ মিটার গভীর গিরিখাতে পড়ে যায়।
এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ২২ জন নিহত হয়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানায়, বাসটি বেলুচের তেহসিলে কোম্পানির সদর দফতর থেকে ৪০ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা করে। রাস্তায় বাসটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়।
বাসটি প্রথমে সড়কের পাশে একটি পাহাড়ে ধাক্কা খায় এবং তারপর আচমকা মোড় নিয়ে সড়ক থেকে ৫শ মিটার নিচের গিরিখাতের গভীরে আছড়ে পড়ে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, গিরিখাতে পড়ার পরপরই বাসটি ডুবে যায়। গ্রামের এক ইমামকে টেলিফোনে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান তিনি। পরে ওই ব্যক্তি মসজিদের মাইকে দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে গ্রামবাসীকে দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজে সহায়তার আহ্বান জানান।
সেখানকার ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল রশিদ নাইম খান জানিয়েছেন, মোট ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৮ জন আহত হয়েছেন এ দুর্ঘটনায়। ৫ জনকে উদ্ধারের পর কোতলি জেলায় এবং অন্য তিনজনকে বেলুচে পাঠানো হয়েছে।
এস এস/