Warning: Attempt to read property "display_name" on bool in /home11/sokalers/public_html/wp-content/plugins/wordpress-seo/frontend/schema/class-schema-person.php on line 118

Warning: Attempt to read property "user_email" on bool in /home11/sokalers/public_html/wp-content/plugins/wordpress-seo/frontend/schema/class-schema-person.php on line 144

Warning: Attempt to read property "display_name" on bool in /home11/sokalers/public_html/wp-content/plugins/wordpress-seo/frontend/schema/class-schema-person.php on line 151

ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বিশ্ব নেতারা ‘ক্ষুব্ধ’


৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ ৬:৩৭ : পূর্বাহ্ণ

সকালেরসময়, আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: বিতর্কের মাঝেই তিন ধর্মের পবিত্র শহর জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন বিশ্ব নেতারা।

১৯৪৮ সালে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রই জেরুজালেমকে তাদের রাজধানীর স্বীকৃতি দিল।

মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদিদের কাছে পবিত্র নগরী জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে চায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়ই। ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘোষণা দিলে তা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় মরণ ছোবল হবে বলে সতর্ক করেছিলেন ফিলিস্তিনের নেতারা।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে জেরুজালেমের জিম্মাদার জর্ডান এ বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করে বলেছে, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলে তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।

এই সিদ্ধান্ত চরম সীমা অতিক্রম করবে বলে ট্রাম্পকে সতর্ক করেছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়েপ এরদোয়ান। এর আগে এরদোয়ান ইসরাইলের সঙ্গে সব কূটনৈতকি সম্পর্ক ছিন্ন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে ট্রাম্পের সবচেয়ে বন্ধুপ্রতিম দেশ সৌদি আরবও এতে আপত্তি জানিয়ে বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে।

ইরান বলেছে, বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা দিয়ে মার্কিন সরকার আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন ঘটিয়েছে। এতে ওই এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পরে।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে সায় নেই তাদের অন্যতম মিত্র যুক্তরাজ্যেরও। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ট্রাম্পকে ফোন করে এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, যাদের মধ্যে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোও ছিলেন।

পোপ ফ্রান্সিসও জাতিসংঘ প্রস্তাবনা অনুসারে জেরুজালেমের মর্যাদা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ইসরায়েল বরাবরই জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী বলে দাবি করে আসছে। অন্যদিকে পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী করতে চান ফিলিস্তিনের নেতারা।

যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি ম্যানুয়েল হাসাসিয়ান বিবিসিকে বলেন, জেরুজালেম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরিবর্তন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়ায় দ্বি-রাষ্ট্রিক সমাধান প্রচেষ্টায় মরণছোবল এবং যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।

এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে পার্লামেন্টে বলেছেন, জেরুজালেম নিয়ে যুক্তরাজ্য অবস্থান বদলায়নি। নগরীটির মর্যাদা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা করা উচিত এবং এটিকে ইসরায়েল ও ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ভাগ করে দেয়া উচিত।

ওদিকে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে উল্লাস প্রকাশ করে অন্যান্য দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের পথ অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের শিক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেত্তে। তিনি বলেছেন, এ পদক্ষেপে ইসরায়েলের শত্রুরা মেনে নিতে বাধ্য হবে যে, জেরুজালেম কখনো বিভক্ত হবে না।

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ