সকালেরসময় বিশ্ব ডেস্ক:: অপ্রকাশ্য একটি চুক্তিকে অবৈধ অ্যাখ্যা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন পর্ন তারকা স্টেফানি ক্লিফোর্ড। ট্রাম্পের স্বাক্ষর না থাকায় ২০১৬-র মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে হওয়া ওই চুক্তিকে ’অকার্যকর’ও বলছেন তিনি। পর্ন দুনিয়ায় স্টর্মি ডেনিয়েলস নামে খ্যাত এ অভিনেত্রী মঙ্গলবার লস অ্যাঞ্জেলসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করেন বলে খবর বিবিসির। সাত বছর আগে ২০১১ সালে ইনটাচ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টেফানি ২০০৬ সাল থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে দাবি করেন।
সম্পর্ক শুরুর কয়েক মাস আগেই ট্রাম্প-মেলানিয়ার সন্তান ব্যারনের জন্ম হয়েছিল বলেও জানান এ পর্ন অভিনেত্রী। চলতি বছরের শুরুতে যৌনাচারের ঘটনা লুকাতে ট্রাম্পের অর্থ ব্যয়ের কথা জানিয়ে মার্কিন গণমাধ্যমগুলোতে ওই সম্পর্কের কথা ফের আলোচনায় আসে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের আইনজীবী পল কোহেন ২০১৬-র অক্টোবরে স্টেফানিকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলারও দিয়েছিলেন। ওই বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন বিতর্কিত ধনকুবের ট্রাম্প। স্টেফানি তার সঙ্গে ট্রাম্পের যৌন সম্পর্কের কথা যেন প্রকাশ্যে না আনেন, তা বন্ধ করতেই এই অর্থ দেওয়া হয়েছিল বলে নিশ্চিত হওয়ার কথা জানায় নিউ ইয়র্ক টাইমসও।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ও ক্লিফোর্ড ২০০৬ সালে লেইক তাহোয় একটি গলফ টুর্নামেন্টে এক হয়েছিলেন, তখনই তাদের মধ্যে যৌন সংসর্গ ঘটেছিল। মঙ্গলবার করা মাৃমলায় ট্রাম্পের আইনজীবী কোহেন ‘চুপ থাকতে’ পর্ন অভিনেত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র কয়েক দিন আগে স্টেফানির সঙ্গে কোহেনের ওই ’চুপ থাকার চুক্তিটি’ হয়েছিল বলেও এতে জানানো হয়েছে। ট্রাম্পের স্বাক্ষর না থাকায় যাকে এখন ‘অকার্যকর চুক্তি’ বলছেন স্টেফানি। গত মাসে কোহেন এ পর্ন অভিনেত্রীকে টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও কি জন্য দেওয়া হয়েছে তা বলতে রাজি হননি। প্রেসিডেন্ট কিংবা ট্রাম্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ লেনদেনের যোগ ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি।