হাজার ছাড়িয়েছে হতাহত  

গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের দফায় দফায় বোমা হামলা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক  ২ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:৪০ : পূর্বাহ্ণ

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে দুইবার বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে হতাহতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গাজার প্রশাসনের প্রচার দপ্তর থেকে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

গাজা প্রশাসনের দেয়া তথ্য বলছে, দুই দফার ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৯৫ জন নিহত হয়েছেন। এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি ১২০ জনকে। তারা বেঁচে আছেন না নিহত হয়েছেন সে বিষয়েও কোনো তথ্য জানা যায়নি। নিহত এবং নিখোঁজের বাইরেও ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৭৭ জন গুরুতর আহত হয়েছে।

জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলাকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। অন্যদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনার জানিয়েছেন যে, এ ধরনের হামলা যুদ্ধাপরাধ বলে গণ্য হতে পারে। ইসরায়েল দাবি করেছে যে, তারা হামাসের টার্গেট লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

এদিকে বুধবার রাফা ক্রসিং খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে এই ক্রসিং দিয়ে বিদেশি নাগরিক এবং গুরুতর অসুস্থ ফিলিস্তিনিরা মিশরে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন। এর আগে এই ক্রসিং দিয়ে খাবার ও ত্রাণসামগ্রী বহনকারী ট্রাক ঢুকতে দেয়া হলেও বিদেশি নাগরিকদের এবারই গাজা ত্যাগের সুযোগ দেয়া হলো।

বুধবার রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গুরুতর অসুস্থ রোগী ও বিদেশি নাগরিকদের গাজা থেকে মিশরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। মিশর থেকে অ্যাম্বুলেন্স গাজায় প্রবেশ করে রোগীদের রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছাকাছি একটি মিশরীয় ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে গাড়ির সারি গাজা থেকে মিশরে প্রবেশ করছে।

গত ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের ওপর হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর জবাবে ইসরায়েলের পাল্টা হামলার পর থেকে গাজার সীমান্ত বেশিরভাগ সময় বন্ধই থেকেছে। গাজায় চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো ফোন এবং ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। ফোন এবং ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী সংস্থা প্যালটেল জানিয়েছে, এটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইসরায়েল গাজার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সও (আইডিএফ) এর আগে নিশ্চিত করেছে যে, তারা গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া এলাকায় হামলা চালিয়েছে। ওই হামলায় হামাসের এক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে এবং হামাসের মাটির নিচে থাকা অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আইডিএফ দাবি করেছে।

এসএস

Print Friendly, PDF & Email

আরো সংবাদ